ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

যুবলীগের চেয়ারম্যান মনিপুত্র পরশ, সা. সম্পাদক নিখিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন (যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি) মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কংগ্রেসের উদ্বোধন করার পর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন। যুবলীগের সপ্তম কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নাম প্রস্তাব করেন সপ্তম কংগ্রেসের আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম। আর সমর্থন করেন সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ। এ পদে আর কোনো নামের প্রস্তাব না ওঠায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পরশ।

পরে অধিবেশনস্থলে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল বর্তমান পদবি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

পরশ ১০ বছর ধরে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে আবারো স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরশের বর্তমান বয়স ৫১ বছর। পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কালরাতে শেখ ফজলে শামস পরশের বাবা-মাও শহীদ হন। তার ছোট ভাই ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য।

এর আগে সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। 

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারাদেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা ও আটটি সাংগঠনিক জেলার মর্যাদাসম্পন্ন বৈদেশিক শাখার প্রায় তিন হাজার কাউন্সিলর, ২৫ হাজার ডেলিগেটস ও আট হাজার অতিথি মিলিয়ে অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ এবারের কংগ্রেসে অংশ নেন।

সম্প্রতি দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়, তাতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হন। এতে অনেকে ইতিমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছেন। খোদ যুবলীগ চেয়ারম্যানকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত নেতাদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এর আগে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কংগ্রেস হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলো।

আরকে//