চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক
প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭ বুধবার
চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা কমে হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, এমন আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক বলছে, রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় কমলেও জ্বালানি আমদানি ব্যয় কমায় অর্থনীতিতে ভারসাম্য থাকবে। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি এখনো রয়েই যাচ্ছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতি ছয় মাস পর পর প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। বুধবার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। যদিও গত জুনে বিশ্বব্যাংক ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। আর সরকার আশা করছে এ অর্থবছরে দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের পূর্বাভাস
সময় প্রবৃদ্ধি
জানুয়ারি- ২০১৭ ৬.৮%
জুন -২০১৬ ৬.৩%
সরকারের লক্ষ্য (জুন-২০১৬) ৭.২%
বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদন বলছে,,রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ কমবে। কমবে বিনিয়োগও। ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে। তবে ২০১৮-১৯-এ আবার ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়াবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ পূর্বাভাস
অর্থবছর প্রবৃদ্ধি
২০১৬-১৭ ৬.৮%
২০১৭-১৮ ৬.৫%
২০১৮-১৯ ৬.৭%
২০১৯-২০ ৭.০%
বিশ্বব্যাংক মনে করছে, খেলাপি ঋণ, রাজনৈতিক কর্মসূচি অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। রপ্তানী আয় আর রেমিটেন্স কমলেও জ্বালানী তেল আমদানিতে ব্যয় কমায় ভারসাম্য থাকবে অর্থনীতিতে।
জ্বালানি তেল+রেমিট্যান্স+আইনশৃঙ্খলা বাহিনী+রাজনৈতিক কর্মসূচী
বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি অর্থবছর দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। শীর্ষে থাকবে ভুটান। আর ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ভারত থাকবে দ্বিতীয় অবস্থানে।