ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

কবি ও সম্পাদক যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্মদিন আজ। তিনি ১৮৭৮ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন। তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়।

যতীন্দ্রমোহন বাগচী নদীয়া জেলার জমশেরপুরে জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাগচী জমশেরপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বলাগড় গ্রাম, হুগলী। তিনি কলকাতার ডাফ কলেজ (এখন স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে তার প্রথম ডিগ্রি নিয়েছিলেন।

বাগচী সারদাচরণ মিত্রের ব্যক্তিগত সচিবরূপে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কলকাতা কর্পোরেশনে নাটোর মহারাজের ব্যক্তিগত সচিব ও জমিদারির সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে এবং কর কোম্পানি ও এফ.এন গুপ্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন।

পল্লী-প্রীতি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। ‘পথের পাঁচালী’র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবি জীবনানন্দ দাশের মত তার কাব্যবস্তু নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। গ্রাম বাঙলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনে তিনি প্রয়াসী হয়েছেন। গ্রাম জীবনের অতি সাধারণ বিষয় ও সুখ-দুঃখ তিনি সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সংগে তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।

তার কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে আছে- ‘লেখা (১৯০৬)’, ‘রেখা (১৯১০)’, ‘অপরাজিতা (১৯১৫)’, ‘বন্ধুর দান (১৯১৮)’, ‘জাগরণী (১৯২২)’, ‘নীহারিকা (১৯২৭)’, ‘মহাভারতী (১৯৩৬)’, ‘কাব্যমালঞ্চ’, ‘নাগকেশর’, ‘পাঞ্চজন্য’, ‘পথের সাথী’ প্রভৃতি।

তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘কাজলাদিদি’, ‘শ্রিকল’, ‘অন্ধ বধু’, ‘হাট’ প্রভৃতি।
এসএ/