ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশ-সৌদি আরব কারিগরী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত 

সৌদি আরব থেকে মোহাম্মদ ফিরোজ

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

বাংলাদেশ-সৌদি আরব কারিগরী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিগণ

বাংলাদেশ-সৌদি আরব কারিগরী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিগণ

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে যৌথ কারিগরী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেনতেন নয়, বিদেশে কাজ করতে আগ্রহী প্রশিক্ষিত ও যাচাই-বাছাই করে গৃহকর্মী পাঠানো হবে। সে ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের বিদাশে পাঠানোর আগে সে দেশের ভাষা, কাজ করার দক্ষতা, বয়সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে জানান সৌদি কতৃপক্ষ।

গত ২৭ নভেম্বর (বুধবার) রাজধানী রিয়াদের একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ সচিব সেলিম রেজা।  

আর ১৩ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৌদি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এসিসট্যান্ট ডেপুটি মিনিস্টার জাবের আল মাহমুদ।

যেখানে বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত, পুরুষ কর্মীদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবসহ দু'দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানান, নিয়োগকর্তার বাসা থেকে কোনও গৃহকর্মী পালিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নিলে তাকে পুন:রায় ওই নিয়োগকর্তার কাছে ফেরত না দিয়ে বিষয়টি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।

শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে ওই গৃহকর্মীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়া বিদেশে নারী শ্রমিকদের বিদ্যমান প্রশিক্ষণকে আরও কার্যকর ও সময়োপযোগী করা হবে। প্রশিক্ষণে ত্রুটি পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা উঠে আসে বৈঠকে।

সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে দূতাবাসের কাছে জবাবদিহিতার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে।

এদিকে, বাংলাদেশি নারীকর্মী আনতে হলে স্থানীয় কোনও এজেন্সিকে অবশ্যই বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি নিতে হবে। দূতাবাস তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিএমইটিকে জানানোর পর ওই এজেন্সি কর্মী আনার অনুমতি পাবে- এমন একটি পরিকল্পনার কথাও বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

ভিসা ট্রেডিংকে মানবপাচার উল্লেখ করে তা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ।

এছাড়াও, সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য বীমাকে আরও বেশি কার্যকরী করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। খুব শিগগিরই দু’দেশের মধ্যে পুরুষ কর্মীদের বিষয়ে গাইডলাইনমূলক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে দেশদুটি কাজ করবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এখানে উল্লেখ থাকে যে, বর্তমানে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে পুরুষ কর্মীদের বিষয়ে কোনও চুক্তি নেই।

উক্ত অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সৌদি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুসানাদসহ বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এনএস/