ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৪ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের প্রসারে কাইয়ুম চৌধুরী পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। তিনি বইয়ের প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জায় এনেছেন আধুনিকতা এবং নতুন ধারার সৃষ্টিশীলতা।

এই মহান শিল্পীর জন্ম ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুলে এসএসসি (১৯৪৯), ঢাকা আর্ট কলেজে স্নাতক ডিগ্রি (১৯৫৪) লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে শিল্পী পাকিস্তান অবজারভারে প্রধান আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক চিত্রালী ও দৈনিক পূর্বদেশেও চাকরি করেন। ১৯৬৫ সালে শিল্পী ফের যোগ দেন আর্ট কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শিল্পীদের নিয়ে গঠিত চারুকলা শিল্পী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক হিসেবে কাইয়ুম চৌধুরী অবসরে যান। তবে তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান করেন। কাইয়ুম চৌধুরী শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রথম আলো, সচিত্র সন্ধানী, মূলধারাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন।

কাইয়ুম চৌধুরী একুশে পদক (১৯৮৪) ও স্বাধীনতা পদক (২০১৪), বঙ্গবন্ধু পুরস্কার (১৯৭৪), জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ পুরস্কার (১৯৭৫), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭), সুলতান পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর কাইয়ুম চৌধুরীর স্মরেণ অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অংশগ্রহণকারীদের অঙ্কন ও চিত্রকর্ম চারুকলা অনুষদের প্রদর্শনীতে রাখা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ছয়জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- শাহেদ হোসাইন, অনিকা রায়, নূর মুনজেরীন, রিমঝিম প্লাবন চৌধুরী, শাহানা মোস্তফা এবং আরমান চৌধুরী। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।

এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ‘বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি শিশু ও উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অনূর্ধ্ব ১৩ বছর বয়সের শিশুরা চারটি বয়স শ্রেণিতে অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়া ওই দিন বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পীদের মধ্যে একজনকে চারুকলায় আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে।

এসএ/