ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অধিকাংশ সময় অনুশোচনায় কাটান সেই ঐশী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

বাবা-মাকে হত্যা করা সেই ঐশী

বাবা-মাকে হত্যা করা সেই ঐশী

মাদক সেবন ও অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেয়ার কারণে বাবা-মাকে হত্যা করা সেই ঐশী এখন অনেকটাই সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর নারী কারাগারের জেলার উম্মে সালমা। নেশাগ্রস্থ হয়ে বাবা পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে নিজ হাতে হত্যা করেন তিনি। 

রোববার (১ ডিসেম্বর) জেলার উম্মে সালমা বলেন, অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে এখন স্বাভাবিক নিয়মেই জীবন কাটছে ঐশীর। কয়েদিদের সঙ্গে খেয়ে, ঘুমিয়ে আর গল্পগুজব করেই সময় কাটছে তার। তবে দিনের অধিকাংশ সময় অনুশোচনার মধ্যে থাকেন ঐশী।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকা ঐশীকে দেখতে তার আত্মীয়স্বজন কিংবা অন্য কেউ কখনও আসেনি। তবে তার এক চাচা প্রতিমাসেই একবার করে খোঁজখবর নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে করে তার জন্য জামা-কাপড়, খাবার ও টাকা নিয়ে আসেন। একমাত্র আপনজন চাচাকে না দেখতে পেলে অস্থির হয়ে পড়েন ঐশী।
 
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে দিনই রমনা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন নিহত দম্পতির কন্যা ঐশী। এরপর ২৪ আগস্ট খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

এদিকে, বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ঐশীকে ২০১৫ সালে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগ এ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকেই কাশিমপুর নারী কারাগারে রয়েছেন ঐশী।

জানা যায়, মাদকের ভয়াল গ্রাসে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া ঐশী রহমান। পড়ালেখা বাদ দিয়ে মাদক সেবন, ডিজে পার্টি, অনৈতিক সম্পর্ক আর আড্ডাই হয়ে উঠেছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। অতিরিক্ত নেশায় আচ্ছন্ন থাকার কারণে একসময় মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন পুলিশকন্যা।

এনএস/