ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অনুসন্ধানী চোখে একঝাঁক তরুণ

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

প্রখ্যাত গানের দুটি লাইন- ‘প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় আগোচরে’, ঠিক যেনও তাই। প্রতিনিয়ত শত ঘটনার মাঝে অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সংবাদ চেতনাকে কাজে লাগিয়ে যারা খবরা- খবর আমাদের সামনে তুলে ধরেন তাদেরকে সাংবাদিক বলা হয়।

সমাজের আয়না, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, ওয়াচডগ হিসেবে অভিহিত করা হয় সাংবাদিকতাকে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে সাংবাদিকতার ভূমিকা যেখানে অনন্য। 

একটি ঘটনাকে বস্তুনিষ্ঠতার মাধ্যমে সময়োপযোগী তথ্য সবার সামনে তুলে ধরার নামই সাংবাদিকতা। সাংবাদিক হওয়ার আগ্রহ কম বেশি সবারই থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রাবি প্রেসক্লাব’। যাকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা প্লাটফর্ম বলা হয়। 

১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিনিয়ত প্রিয় ক্যাম্পাসকে দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত সংগঠনটির প্রায় ত্রিশজন সাংবাদিক। দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ক্যাম্পাসের লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে থাকা তথ্য সবার সামনে তুলে ধরে সংগঠনটির প্রতিটি সদস্য। 

যখনই ঘটনা তখনই সংবাদ, নৈতিকতার জায়গা থেকে নিরন্তরভাবে সবসময় তটস্থ থাকতে হয় সংগঠনটির সাংবাদিকদের। আড়ালের যেকোনো ইস্যুকে সবার সামনে তুলে ধরে এবং সেটা যথার্থ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে অবিচল থাকেন। এ যেন ক্যাম্পাসের প্রতি তাদের বাড়তি দায়বদ্ধতা।

ক্যাম্পাসের সফলতার গল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। যার ফলে শিক্ষাঙ্গনে সার্বিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তুলতে সহযোগিতা করে। 

প্রত্যেকের চিন্তা ভাবনাগুলো সৃজনশীলতার ছোঁয়া লেগে থাকে। সৃষ্টিশীল লেখনির মাধ্যমে ঘটনাগুলো তুলে ধরেন ভিন্ন আঙ্গিকে।  সংগঠনটির সাংবাদিকগণ সৃজনশীল, অধম্য সাহস, ধৈর্য, প্রজ্ঞা, মেধা, লেগে থাকার মানসিকতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। 

অনেক সময় বাঁধার সম্মুখীন হয়ে সঠিক তথ্যকে সবার সামনে তুলে ধরে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। তাছাড়া, সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে প্রশাসনিক চাপসহ, রাজনৈতিক ও আইনগত চাপের মুখেও পড়তে হয় তাদের। 

সংগঠনটির সাহসী রিপোর্টাররা ভয়কে জয় করে ছুঁটে চলে অদম্য গতিতে। এভাবেই শত বাঁধাগুলোকে উপেক্ষা করে সত্যকে বের করে আনার প্রয়াসে অনুসন্ধানে ছুঁটে চলা।

নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে ঠেলে সত্য, বৈচিত্রময় , বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার ধারাবহিকতাকে টিকিয়ে রেখেছে ক্যাম্পাসের একঝাঁক সাংবাদিক। 

সংগঠনটির সদস্যরা নিজের মেধা, প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে বস্তুনিষ্ঠতার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এআই/