ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১৩ ১৪৩২

রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন পুরাকীর্তি

প্রকাশিত : ১০:১৩ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১০:১৩ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ শনিবার

দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন পুরাকীর্তি রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি। গোবিন্দ লাল রায় ছিলেন পঞ্চম উত্তরাধিকার। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে নিজ বাড়ির ধ্বংস স্তুপের নীচে পড়ে তিনি মারা যাওয়ার পর ছেলে গোপাল লাল রায় নির্মাণ করেন তাজহাট জমিদারবাড়ী। অপরুপ কারুকাজ করা এ বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন শত শত দেশী-বিদেশী পর্যটক ভীড় করেন। রংপুর নগরী থেকে ৪ কিলোমিটার দুরে মাহিগঞ্জে তাজহাট জমিদার বাড়ি। ইতিহাস থেকে জানা যায় তাজহাট এলাকার প্রজা হিতৈষী জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের পুত্র গোপাল লাল রায় তার বাবার মুত্যুর পর জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। মুলত এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ভারতের পাঞ্জাব এলাকার বাসিন্দা মান্না লাল রায়। তিনি  অষ্টদশ শতাব্দীতে সুদূর পাঞ্চাব থেকে রংপুরের মাহিগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসা করতে এসেছিলেন। ধারণা করা হয় তার আকর্ষনীয় তাজ বা রতন খচিত মুকুটের কারণে এই এলাকার নাম হয় তাজহাট। নজরুল ইসলাম হক্কানী লেখক ইতিহাসবিদ ও গবেষক ১৬ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত  জমিদার বাড়িটি ১৯০৮ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে তৈরী করা হয়। যা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ১৯৪৭ সালে। এখানে ২৬টি কক্ষ রয়েছে। ১৯৯৫ সালে জমিদার বাড়িটি প্রতœতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে যাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।