ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ব্রকোলির অনেক পুষ্টিগুণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৩ এএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম ব্রকোলি। ফুলকপির মতো দেখতে হলেও স্বাদে ফুলকপির চেয়েও সুস্বাদু। সবুজ রঙের এই সবজির ডাট এবং ফুল বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। অনেকে কাঁচাও খেয়ে থাকেন। এটি এমন একটি সবজি যাতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু ব্রকলি ভিটামিন, মিনারেল আর ফাইবারে পরিপূর্ণ। তাই খাবারে ব্রোকলি রাখলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যাবে।

পুষ্টিবিদরা বলেন, ব্রকোলির পুষ্টিগুণ ফুলকপির চেয়েও বেশি। এই সবজিটিতে পানি বেশি থাকায় শীতে শরীরের পক্ষেও উপকারী। মূলত শীতের সবজি হলেও আজকাল সারাবছরই বড় বড় বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। সালাড থেকে শুরু করে ফ্রায়েড রাইস বা চাউমিনেও ব্রকোলি দেওয়ার রীতি আছে। নিরামিষ তরকারিতেও ব্রকোলির ব্যবহার হচ্ছে। 

ভিটামিন কে, আয়রন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড, লিউটেন, ক্যারোটিনয়েড, বিটা-ক্যারোটিন-সহ উচ্চ মানের নানা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ডায়েটেশিয়ানদের কাছে এটি খুব জনপ্রিয়। রোগ প্রতিরোধে এই সব্জি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কারণে প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবেও কাজ করতে পারে ব্রকোলি।

ডায়েটে ব্রকোলি থাকলে কোন কোন দিক থেকে আপনি লাভবান হতে পারেন তা জেনে নিন...

* ক্যালোরি কম থাকায় ওজন বাড়ার কোনও সুযোগই দেয় না ব্রকোলি। এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ। যা শরীরে পানির ভারসাম্য ধরে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

*  ব্রকলিতে রয়েছে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম, যা স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ আর রোগমুক্ত রাখে। তাছাড়া আমাদের পেশির নিয়মিত বর্ধণকে ত্বরান্বিত করে। অপটিমাল ব্রেইন ফাংশন রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা অপরিসীম। 

* এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম আর ক্যালশিয়াম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

*  ব্রকলিতে এতো উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন কে এবং ক্যালশিয়াম থাকে, যা হাড়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। হাড়ের ক্ষয়, হাড় ভঙ্গুর ও নাজুক হয়ে পড়া রোধ করে। 

* ব্রকলিতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার আমাদের পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূর  থাকা যায়। 

* এটি ভিটামিন এ –এর ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি বর্ধণে এই ভিটামিন এ অতীব জরুরি। 

* ব্রকলিতে থাকা প্রাপ্ত ভিটামিন বি৬ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমায়।  

* ব্রকলিতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে তা শরীরের কাটা বা ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

* ইনডোল-৩-কার্বিনোল নামে একটি অতীব শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে এই ব্রকলিতে। যা সার্ভিকল ও অগ্রগ্রন্থির ক্যান্সার এবং লিভার ফাংশন এর উন্নতি সাধন করে। 

* এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ব্রকলি খেলে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

* এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও কেমফেরল শরীরে অ্যালার্জির হানা রুখে দেয়।

* ব্রকোলির গ্লুকোরাফানিন ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে কাজে আসে। রক্ত সঞ্চালন ও সংবহনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্রকোলি।

তাই প্রতিদিন ব্রকলি খেলে তা রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করবে।

এএইচ/