ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এনকাউন্টারে নিহতদের লাশ নিচ্ছে না পরিবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৪ এএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

শুক্রবার ভোররাতের ভারতের তেলঙ্গানায় এনকাউন্টারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে পুলিশের জন্য প্রশংসার বন্যা। পুলিশি এনকাউন্টারে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের নিহত হওয়ার ঘটনা জানানর পর স্বস্তি চেপে রাখতে পারেননি নির্যাতিতার পরিবারও। খবর এই সময়’র।

নির্যাতিতার মা আগেই জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদেরও পুড়িয়ে মারা হোক। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এক 
অভিযুক্তর মা'ও বলেছিলেন ছেলে দোষী হলে তাঁকে যেন পুড়িয়ে মারা হয়। কড়া শাস্তির কথা বলেছিলেন এক অভিযুক্তের বাবাও।

তবে বিচারের আগেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে চার অভিযুক্তের। আর এরপরই তাদের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছে পরিবার। অভিযুক্ত এ জনের শেষকৃত্য করবে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, পুলিশের তরফে এনকাউন্টার স্থল থেকে চারটি মৃতদেহ সরিয়ে এনে মৃতদের বাড়িতে খবর দেওয়া হলেও কোনও পরিবারই দেহ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। মৃতদেহ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে অভিযুক্তদের পরিবার। এতেই নিহতদের শেষকৃত্যের দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হচ্ছে।

এ দিন ভোর চারটার দিকে সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত চার জনকে। এ সময় পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তারা। অভিযুক্তদের পালানো আটকাতে গিয়ে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজনের।

এই ঘটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন পুলিশ কমিশনার সিপি সজ্জানার। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে ১০ পুলিশকর্মী চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর মোবাইল ও ঘড়ি। অধিকতর তদন্ত করার জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা অস্ত্র ছিনিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে। জখম হন দুই পুলিশ সদস্য। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় পুলিশ। 

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা অনেক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। শুধু বলব, আইন আইনের কাজ করেছে।’

এমএস/এসি