ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আইসিসির শতবর্ষ উদযাপনে সম্মেলন ১০ ডিসেম্বর 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

ইন্টারন্যাশনার চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) শতবর্ষ ও আইসিসি বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আইসিসি বাংলাদেশ, ইউএনএসকাপ, টিএফপি এবং লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করবে। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৪ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে এই সম্মেলন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইসিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মত স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হলে জিডিপির ১৬ শতাংশ বিনিয়োগ প্রয়োজন। সরকার বাস্তবায়ন করলেও বেসরকারি বিনিয়োগ ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই আর্থিক জোগান দিতে হবে। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী এই বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুঁজতে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, এসডিজি বাস্তবায়নে সকলকে সঙ্গে নিয়ে ‘কেউ বাদ যাবে না’ এই ¯স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে এটা বাস্তবায়নে অর্থ যোগান দিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তাকে সুসংহত করতে হবে।

তিনি জানান, এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থায়নে জোগানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সহায়তার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের দরকার।

এই সম্মেলনে এসডিজি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যথাযথ অর্থায়নের সুবিধার্থে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎসসমূহকে বর্ধিত করার লক্ষে নতুন নতুন উদ্ভাবনী নীতি কাঠামো বাস্তবায়নের পাশাপাশি সুশাসন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রেক্ষিত বিবেচনায় অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ নিয়ে আলোচনা হবে।

আরকে//