ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১৩ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন মামলায় ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড  ৯ আসামীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ সোমবার

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, মাসুদ রানা ও আরিফ হোসেনসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকী ৯ আসামীকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। ৩৫ আসামীর মধ্যে ১২ জন এখনো পলাতক। বাদী পক্ষেও আইনজীবী মামলার রায়ে সন্তোষ জানালেও উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে আসামীপক্ষ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বহুল আলোচিত ৭ খুন মামলার আসামীদের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ  আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১০টায় এজলাসে এসে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক এনায়েত হোসেন। ১০টা ছয় মিনিটেই তিনি রায় ঘোষণা শেষ করেন। আসামীদের মধ্যে নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদন্ড।  র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ, তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা  আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা, পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদকেও ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে এমদাদুল হক, নাসির উদ্দিন, শিহাব উদ্দিন, আরিফ হোসেন, হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, রুহুল আমিন, আবু তৈয়্যব,  নুরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান নূরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশারকেও একই দন্ডে দন্ডিত করা হয়।  এরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতকদের মধ্যে  সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পলাতক নয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়ার কথা জানান, বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রীও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ কওে বলেন, তার কষ্টের অবসান হয়েছে। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা ন্যায় বিচার পাননি বলে দাবি করেন। উচ্চ আদালতে আপিল করার কথাও জানান তারা। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরনের পর হত্যার ঘটনায় ফতুল্লা থানায় দায়ের করা মামলায় এই রায় হলো।