ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জাপানি ইকোনমিক জোনের উন্নয়ন কাজ পাচ্ছে টোইয়া

আসিফ শওকত কল্লোল

প্রকাশিত : ১০:৫৫ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১১:০১ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারীতে জাপানি ইকোনমিক জোনের ভূমি উন্নয়ন কাজ জাপানের হাতে ছেড়ে দিতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য দেশটির সবচেয়ে পুরাতন নির্মাণ কোম্পানি টোইয়া কর্পোরেশনকে নির্বাচন করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ(বেজা)।

এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার এই প্রকল্পটি আগামী বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভায় উত্থাপন হওয়ার কথা রয়েছে।  সভায় সভাপতিত্বে করবে অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বেজার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাপানের টোইয়া কর্পোরেশন  এবং  টোকিও কনস্টাকশন কর্পোরেশন বেজার টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। টোইয়া কর্পোরেশন উদ্বৃত দর থেকে মাত্র ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি হয় এবং যা দুইটি জাপানি কোম্পানির মধ্যে সর্বনিম্ন দর।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রায় ১ হাজার ১০ একর জমিতে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সমঝোতা চুক্তিটি সই হয় ২০১৬ সালের ২ মে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু হয় ২০১৩ সালে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে।

২০১৭ সালের ২১ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি ও বিনিয়োগ প্রস্তাবের  অগ্রগতি নিয়ে একটি সভা হয়। সেই বছর ২৯ জুন জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ছয় প্রকল্পে ১৫৯ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়েছিল।

২০১৭ সালে জেট্রোর জরিপে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন করা হয়, কারা বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী? জবাবে ৯৯২টি কোম্পানি বলেছে, তাদের বিদেশে ব্যবসা আছে এবং তারা সম্প্রসারণে আগ্রহী। সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জাপানি কোম্পানিগুলোর পছন্দের শীর্ষ দেশ চীন। ৫২ শতাংশ জাপানি কোম্পানি চীনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়। এর পরের অবস্থানে আছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান। জাপানিদের পছন্দের শীর্ষে থাকা ২০ দেশের তালিকায় ভারত আছে ৮ নম্বরে, মালয়েশিয়া ১১ নম্বরে, মিয়ানমার ১৪ নম্বরে, কম্বোডিয়া ১৭ নম্বরে এবং বাংলাদেশ আছে ২০ নম্বরে। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নেই।

তিন বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে থমকে যায় জাপানিদের বিনিয়োগ কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, জাপানি ইকোনোমিক জোনের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই স্থবিরতা কেটে যাবে।