ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা

ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন দুদক কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ। 

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামিরা অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করেন। এরপর সে টাকা নগদে উত্তোলন ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর এবং গোপনে পাচার করা হয়।

মামলার এজাহারে দুদক বলেছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মধ্যে আসামি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাপর আসামিদের সহযোগিতায় ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) থেকে শাহজাহান ও নিরঞ্জনের নামে ভুয়া ঋণ উত্তোলন করেন। 

এরপর সেই অর্জিত অপরাধলব্ধ টাকা নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে তা উত্তোলন করে নিজ আত্মীয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে নিজেদের ভোগদখলে রেখে ওই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি উৎসের অবস্থান গোপন বা এর ছদ্মাবরণে পাচার করেন। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২), (৩) সংশ্লিষ্ট ধারায় ও দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এনএস/