ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আজ ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

আজ ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’। প্রতি বছর ১১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। প্রকৃতির অপরূপ দান পাহাড় পর্বত সুরক্ষা করে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষেই পালিত হয় দিবসটি।

পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশে মোট ভূমির এক পঞ্চমাংশ হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চল। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আট ভাগ পাহাড়ি অঞ্চল অবস্থিত। বাকি দশ ভাগ অবস্থিত দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বেশ কিছু পাহাড় টিলা রয়েছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলানিকেতন এই টিলা পাহাড় দেশি বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অথচ এই টিলা পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের আগ্রাসী থাবায় শত শত বছরের ঐতিহ্য আজ বিলীন হওয়ার পথে।

পাহাড় কাটার ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে, ভূমি ধসের ঘটনাও ঘটছে। সবচেয়ে বড় কথা, পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ধংস পাচ্ছে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ত্বরান্বিত হচ্ছে। তাছাড়া, পাহাড় পর্বত ধ্বংসের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে, পরিবেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঐতিহ্য বিনষ্ট হওয়া সভ্যতা ধ্বংসের নামান্তর। নানা কারণে পরিবেশের ভারসাম্য ধ্বংস হচ্ছে সারাবিশ্বে। মানুষের অসচেতনতা, জলবায়ুর পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা সবচেয়ে বেশি শোচনীয়। এখানে অবাধে কাটা হচ্ছে টিলা-পাহাড়। এ ব্যাপারে প্রচলিত আইনেরও প্রয়োগ নেই বললেই চলে। এটা বন্ধ করতে হবে।

মনে রাখতে হবে- পাহাড়-পর্বত মহান সৃষ্টিকর্তার তৈরি। মানুষের পক্ষে তা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই যা তৈরি করা যায় না, তা ধ্বংস করার সাধ্যও কারও নেই। ভূমির ভারসাম্য রক্ষায় খুঁটি হিসেবে বিবেচিত পাহাড়-টিলা থাকুক অটুট, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

এসএ/