ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বিজয় উৎসব শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর চলছে। কদিন পরেই বিজয় দিবস। তাকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হয়েছে বিজয় উৎসব। তাই লাল-সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে পুরো চত্বর। মুক্তিযুদ্ধের গান-কবিতায় মুখরিত জাদুঘর প্রাঙ্গণ।

গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে প্রবেশের পরপরই শোনা গেল সেই চেনা সুর। ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে/বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা/ আমরা তোমাদের ভুলবো না’। 

ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গাইছিল গানটি। তার আগেই ছিল গান, নৃত্য আর কথামালা। আর প্রতিদিন এমনি সব নানা আয়োজন চলবে মহান বিজয় দিবস পর্যন্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত বিজয় উৎসব ২০১৯-এর অনুষ্ঠানমালা।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এবারের বিজয় উৎসবের সূচনা হয়েছে একটু ভিন্নভাবে, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাদুঘরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ব্যান্ড বাদনের মধ্য দিয়ে। উন্মুক্ত মঞ্চে এ দিন ব্যান্ড বাদনে অংশ নেয় ইস্পাহানি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গার্ল গাইডস। এর পরের আয়োজনগুলো ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে। সোমবার ছিল হিউম্যান রাইটস ডে বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ দিন বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার এই বিষয়ে উদ্বোধনী ভাষণ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ।

ভাষণ প্রদান শেষেই ছিল দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে প্রথমেই নৃত্য পরিবেশন করেন স্পন্দনের শিল্পীরা। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা আবৃত্তিচর্চা কেন্দ্রের বাচিক শিল্পীরা। এর পরপরই দলীয় সঙ্গীতে অংশ নেয় বধ্যভূমির সন্তান দল। সবশেষে ছিল ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ ও ইস্পাহানি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা।

আজ বুধবার বিকেল ৪টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভাসানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কাউট কর্তৃক উন্মুক্ত মঞ্চে ব্যান্ড বাদন পরিবেশিত হবে, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে স্বরশ্রুতি, দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভাসানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।