ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সেলুলয়েডের পাতায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং সেখান থেকে একটি দেশ; মুঠো ভর্তি স্বাধীনতা। স্বাধীনতা- মায়ের ভাষায় কথা বলার, স্বাধীনতা মাথা তুলে বাাঁচবার। কিন্তু এই স্বাধীনতার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অনেক আত্মত্যাগ, অনেক ইতিহাস। সেলুলয়েডের পাতায় তা খুব বেশি ধরা পড়েনি।

দেশী-বিদেশী অনেক নির্মাতাই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। এখনও দেশের আনাচে-কানাচে পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য-প্রমাণ। যা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যেতে পারে বলে মনে করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তবে আর্থিক সামর্থের অভাব-সহ তরুণ নির্মাতাদের আগ্রহের ঘাটতির কথাও জানান তারা।

ভাষা আন্দোলন নিয়ে ১৯৭০ সালে জহির রায়হান প্রথম নির্মান করেন ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্র। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ৬ দফা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নির্মিত হয় ফখরুল আলমের ‘জয় বাংলা’। এর পর একই বছরের ১১ আগস্ট মুক্তি পায় চাষী নজরুল ইসলামের ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমাটি।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরে নির্মিত হয়েছে ৫০টির কিছু বেশি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রক্তাত্ত বাংলা’ ‘আলোর মিছিল’ ‘আগুনের পরশ মনি’। শুধু দেশী পরিচালকরাই নন, বিদেশী নির্মাতাদের সেলুলয়েডেও উঠে আসে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারতের উমাপ্রসাদ মৈত্রের ‘জয় বাংলা’ ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘দুর্বার গতি পদ্মা’ সহ আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা। এছাড়াও জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করে। তবে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যতগুলো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তা প্রকৃত ইতিহাস ধারণ করতে যথেষ্ট নয় বলে জানান চলচ্চিত্র পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল।

মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নির্মাণে আর্থিক সংকট সহ নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে তরুণ নির্মাতাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান তার।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুধু পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই নয়, স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রামান্যচিত্র সহ নানা ভাবেই চিত্রায়িত করা যেতে পারে বলে মনে করেন একুশে পদক প্রাপ্ত এই নির্মতা।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :

এসএ/