ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জামিন পেলেও মুক্তি পাবেন না খালেদা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:০৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। 

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়। এরপর সকাল ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদালত। 

আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে আছেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। 

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল আদালত।

আলোচিত এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার জামিন পেলেও কি খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে? এমন প্রশ্ন এখন সবার?

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা ও অর্থদণ্ড শুধু এ মামলায় হয়নি। চাঞ্চল্যকর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই মামলায় তার ১০ বছর দণ্ড হয়। ফলে, এ মামলায় জামিন পেলে সহসাই মুক্তি মিলছে না খালেদার। 

তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলে অপর মামলায়ও তার জামিন প্রক্রিয়া সহজ হবে। কেননা, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।

আজকের শুনানিতে সরকার পক্ষ বিরোধীতা যদি না করেন তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। 

প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুনীতির মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

এ মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর (পরবর্তীতে ১০ বছর) ও তার ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ২ কোটিরও বেশি বেশি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। 

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। 

আর গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। ফলে চিকিৎসার জন্য তাকে নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এআই/