ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বরিস জনসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ‘ব্রেক্সিট’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:১৫ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সামনে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ব্রেক্সিট। তাকে এখন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। এখন এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, ব্রিটেন ৩১শে জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে। খবর বিবিসি’র।

বিষয়টি আইনগত দিক দিয়ে বা প্রতীকী অর্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। এরপরে রয়েছে আরও অনেক প্রতিশ্রুতি।

এক নম্বর হল, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল শেষ হবার আগেই প্রায় রেকর্ড সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটা বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। কারণ ইইউ ছাড়ার পর বাণিজ্য ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সময়সীমা শেষ হবে আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর। 

বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা কঠিন কাজ হবে যদি তিনি চান যে, বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন’র (ইইউ) যেসব নিয়মবিধি ব্রিটেন মেনে চলে সেগুলো থেকে বেরিয়ে যাবার স্বাধীনতা ব্রিটেন চায়।

দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি হল বরিস জনসন বলেছেন তিনি ব্রেক্সিট পরবর্তী এই অর্ন্তবর্তী সময়ের মেয়াদ বাড়াতে চান না। কাজেই তার বাণিজ্য চুক্তি যদি সময়মত তৈরি না হয় তিনি কী করবেন?

তাহলে কি তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সময়সীমা বাড়াবেন, নাকি চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বের হওয়ার একটা নতুন পথ তিনি খুঁজবেন? আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর তাকে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা পার হতে হবে। এ দিন আইনগতভাবে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। এখন সব দৃষ্টি ব্রেক্সিট প্রশ্নকে ঘিরে।  

তবে ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের কাঠামো কী হবে সেই গোটা ব্যাপারটার মীমাংসা কীভাবে হবে সেটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো যে ৬৪৯টি আসনের চূড়ান্ত ফল জানিয়েছে; তার মধ্যে রক্ষণশীলরা একাই জিতেছে ৩৬৪টি। লেবার পার্টি ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্রেটরা ১১ এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে।

চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টি চমক দেখালেও, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে তারা কোনো আসনই জিততে পারেনি।

বিবিসি বলছে, জনসনের নেতৃত্বে এবার কনজারভেটিভ পার্টি ১৯৮৭ সালের পর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতেছে, লেবার করেছে ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফল।

এমএস/এসি