ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জনতার বিনম্র শ্রদ্ধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১২:২৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার জনতা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। আজ শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে জনতার ঢল নামে। শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে।

এর আগে সকাল ৭টা ১ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল। 

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকার প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবেও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সমাধিতে ফুল দিয়ে পুনরায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।

এ দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাঙালি জাতির জীবনে ১৪ ডিসেম্বর একটি কলঙ্কের দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা বেদনাবিধুর দিন আজ। বাঙালির মেধা-মনন-মনীষা শক্তি হারানোর দিন আজ।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে এই দিনে দেশকে মেধাশূন্য করার পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিত্সক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের।

এমএস/