ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রংপুরকে হারিয়ে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

ইমরুল কায়েস ইন অ্যাকশন

ইমরুল কায়েস ইন অ্যাকশন

মোহাম্মদ নাঈমের রানে ফেরার দিনেও জিততে পারলো না রংপুর রেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং নৈপুণ্যের কাছে হেরে গেল ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। যাতে মাহমুদুল্লার ফেরার ম্যাচে জিতে তিন ম্যাচ থেকে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

শনিবার রংপুরের দেয়া ১৫৮ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা বেশ দুর্দান্তই করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। দুজনে মিলে সাত ওভারে তুলে ফেলেন ৬৮ রান। এসময় ২৩ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় ৩৭ রান করে ফেরেন ফার্নান্ডো। 

লঙ্কান ওপেনার ফিরলেও ফিফটি পূরণ করেন চট্টগ্রামের ক্যারিবিয় রিক্রুট ওয়ালটন। যদিও তাকে আর আগাতে দেননি প্রতিপক্ষ অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। এই স্পিনারের শিকার হয়ে ফেরার আগে ৩৪ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় সই ৫০ রান করেন এই মারকুটে ওপেনার। ফলে দ্বাদশ ওভারে ১০৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জয়ের লক্ষ্যে ছুটতে থাকা চট্টগ্রাম।

এরপর শেষ দিকে গিয়ে পরপর মাহমুদুল্লাহ ও নাসিরকে হারালেও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি কাজটা সারেন তিনে নামা ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে। তার এই ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কার মার। যাতে ৬ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৫ রান করে এবং নাসির হোসাইন ৩ রানে আউট হন।  

শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে নেমে ৭৮ রান করেছেন রংপুরের ওপেনার। সঙ্গে ছোট হলেও ঝোড়ো দুটি ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নবি ও তাসকিন আহমেদ। যাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রংপুর।

গত নভেম্বরে নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আলোচনায় আসার পর কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এসএ গেমস ক্রিকেটের ফাইনালে একাদশের বাইরেও রাখা হয়েছিল এই তরুণকে। বিপিএলের প্রথম ম্যাচেও ভালো করতে পারেননি। তবে বাঁহাতি এই ওপেনার রান পেলেন আজ।

এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ৯ বলে ৯ রান করে ফিরে যান আফগান মারকুটে ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। পরের ব্যাটসম্যানরাও হাঁটেন সেই পথে, পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। তবে অবিচল ছিলেন নাঈম।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৪ বল খেলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৮ রান করেন তরুণ এই উদীয়মান। মোহাম্মদ নবি পাঁচে নেমে ১২ বলে ২১ ও তাসকিন আহমেদ দশে নেমে ৪ বলে ১১ রান করেন।

চট্টগ্রামের হয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন কেসরিক উইলিয়ামস। তবে বল হাতে বেশি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা অলরাউণ্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ১৭ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক।

এনএস/