ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ওষুধ ছাড়াই গ্যাসট্রিক দূর করুন এসব নিয়মে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

ভারী খাওয়া-দাওয়ার পর চুকা ঢেঁকুর, গলা জ্বলা, বিস্বাদ মুখ- এগুলো কিন্তু গ্যাসট্রিকের লক্ষণ।  এ সমস্যা এখন প্রতি ঘরে ঘরেই। ছোট থেকে বড় সবারই রয়েছে গ্যাসট্রিক কিংবা অম্বল। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাই হাত বাড়ান ওষুধের দিকে। এতে সাময়িক কিছুটা আরাম পাওয়া যায় বটে, তবে এই অভ্যাসটি আসলেই ক্ষতিকর। 

চিকিৎসকদের মতে, শারীরিক প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন অ্যাসিড কমানোর ওষুধ খেলে তা আদতে ক্ষতিই করে। এর প্রভাবে কোনও ভারী খাবার খেলে অ্যাসিডের অভাবে প্রোটিন হজমে বিঘ্ন ঘটে৷ খাবার নীচে নামার প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে পেট ভার, খাবার গলায় উঠে আসা, বমি, বদহজম ইত্যাদি হতে পারে৷

সুতরাং কথায় কথায় গ্যাসট্রিকের ওষুধ নয়, বরং নিয়ম মেনে অনিয়মের ধকল সামলান। বেশির ভাগ অম্বলের রোগী কিন্তু নিয়ম মেনেই ভাল থাকতে পারেন। সঠিকভাবে জীবন যাপন করলে গ্যাসট্রিক ধারে-কাছে ঘেঁষতেই পারে না। এবার জেনে নিন ওষুধ ছাড়া কিভাবে গ্যাসট্রিক দূর করবেন, সে সম্পর্কে ...

* চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, মিষ্টি, দুধ, কফি, শুকনো মরিচ, গোলমরিচ, টক, খুব ঠাণ্ডা বা গরম খাবারে অম্বল হতে পারে৷ কী ধরনের
খাবারে এমনটা হয়, তা খেয়াল করুন। নিয়মিত ডায়েট থেকে বাদ দিন সে সব।

* গ্যাসট্রিক ঠেকাতে ওজন ও ভুঁড়ি কমান আগে৷ শরীরচর্চা করুন নিয়মিত আর খাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক বাদে ঘুমাতে যান৷​

* স্ট্রেস থেকে শুধু যে অম্বল/গ্যাসট্রিক বাড়ে এমন নয়, হৃদরোগসহ আরও অনেক জটিল রোগও দেখা দিতে পারে। কাজেই স্ট্রেসকে বশে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* খালি পেটে কখনই চা খাবেন না। লেবু চা ও গ্রিন টি খেলেও কষ্ট বাড়তে পারে৷

* দুটি মূল খাবারের মাঝে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন৷ ঠিক রাখুন খাওয়া ও ঘুমের সময়ও৷

* সিগারেট ও মদে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে৷ তাই মদ্যপান ও ধূমপান দুটিই ছেড়ে দিতে পারলে ভাল।

* ব্যথার ওষুধ থেকেও গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ে। কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ না খেয়ে যে কারণে ব্যথা হচ্ছে তার চিকিৎসা করান।​

* রাতে পার্টি কিংবা নিমন্ত্রণ থাকলে দিনে হালকা খাবার খান। যাওয়ার আগে অল্প কিছু খেয়ে যান। তাতে খিদে কম থাকবে, অনেকটা বেশি খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না।

* বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে না পরে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন৷ ঘুমাতে যান অন্তত দেড়–দু’ঘণ্টা বাদে।

* হঠাৎ গ্যাসের সমস্যা হলে অল্প অল্প করে ঠাণ্ডা পানি খেতে থাকুন। দু’–এক ঘণ্টায় কষ্ট না কমলে ৪–৬ চামচ অ্যান্টাসিড খান। দু’–তিন ঘণ্টা পর আবার খেতে পারেন।

* কষ্ট কমে যাওয়ার পরেও দু’–এক দিন হালকা খাবার খান।

এএইচ/