ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব জয়নুল আবেদীন আর নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন

মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার তিনি মারা যান। 

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন সিঙ্গাপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মরদেহ আনার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তদারকি করছে বলে জানা গেছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর’র (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেজর জেনারেল আবেদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে ইন্তেকাল করেন

প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুতে ভিন্ন ভিন্ন বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মিয়ার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন একজন বিশ্বস্ত ও দক্ষ সামরিক কর্মকর্তা। তার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তাকে হারালো।’ রাষ্ট্রপতি মরহুম মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ভিন্ন শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী তার রুহের মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ শোক জানান তিনি।

এদিকে এস আলম গ্রুপ ও একুশে টেলিভিশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল আলম এক শোক বার্তায় সামরিক সচিবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি এ সামরিক কর্মকর্তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। 

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮০ সালের জুনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হন। ‘বীর বিক্রম’ খেতাব প্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং ২ কন্যা সন্তান ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

এমএস/