ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২০ ১৪৩২

আশুলিয়ায় চেয়ারম্যানের খিচুরী খেয়ে এতিম শিক্ষার্থীরা অসুস্থ

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সরবরাহকৃত বিজয় দিবসের খাবার খেয়ে অসুস্থ অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর
মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

গত সোমবার আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাতবরের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি করা খিচুরী বিতরণের পর অবশিষ্ট খাবার স্থানীয় জামি’আ আশরাফিয়া দারুল উলুম দুদু মিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সরবরাহ করা হয়। এতে ওই মাদ্রাসার প্রায় অর্ধশতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায়  ৯ জন শিশুকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন মাতবরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা কোন বিষয় নয়। যারা অসুস্থ হয়েছে তাদের সকল চিকিৎসার খরচ আমি বহন করেছি। বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জামি’আ আশরাফিয়া দারুল উলুম দুদু মিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র সামিয়ুল হাসান, নূর হোসাইন, হামিদুল ইসলাম, ইয়াসিন আলী, ইয়াসিন খান, আতিকুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আমির হামজা ও ইমরান হোসেন। এছাড়াও ২০ থেকে ২৫ জন অসুস্থ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮তম তলায় চাইল্ড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারের মাদ্রাসার প্রধান বাহাউদ্দিন জানান, বিজয় দিবসের দিন আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব এতিম শিশুদের জন্য এক ডেক খিচুরি পাঠিয়েছিলেন। আমরা সেই খিচুরি সোমবার দুপুরে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করি। এই খাবার খাওয়ার পর কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তখন খাবার বিতরণ বন্ধ করে দিয়ে গুরুতর অসুস্থ শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তিনি বলেছেন অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব খরচ তিনি বহন করবেন।

এদিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল আল নূর জানান, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ডায়রিয়ায়
আক্রান্ত হয়ে মাদ্রাসার ৯ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত দাবি করে তিনি আরও জানান, বাচ্চাগুলোর ডায়রিয়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছিল। পরে আমরা প্রাথমিকভাবে স্যালাইনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা দিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলি। বর্তমানে তাদের অবস্থা ভাল।

এএইচ/