ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

আজই হতে পারে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের ভোট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ এনে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব এনেছে অ্যামেরিকার সংসদের নিম্নকক্ষ। বুধবারই মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। তার ঠিক আগে নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যানসি পেলোসিকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। খবর ডয়চে ভেলে’র। 

ছয় পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ডেমোক্র্যাটরা তাঁর বিরুদ্ধে 'ক্রুসেডে' নেমেছেন, ঠিক যেমন হয়েছিল সালেম উইচ ট্রায়ালে। অষ্টাদশ শতকে অ্যামেরিকার ম্যাসাচুসেটসের সালেম শহরে গণ হিস্টিরিয়া শুরু হয়েছিল। তারই জেরে একটি গণ বিচারের ব্যবস্থা করে বহু মানুষকে ডাইনি অপবাদে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। 

ট্রাম্পের দাবি, ডেমোক্র্যাটরা ঠিক সেভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ইমপিচমেন্টের পুরো ব্যবস্থাটিকেই তিনি 'ভুয়া' বলে ব্যাখ্যা করেছেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, দেশ নয়, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিই ডেমোক্র্যাটদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাই বলুন, তাতে তাঁর ইমপিচমেন্টের ভোট আটকাবে বলে মনে করছেন না অ্যামেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষে ইনটেলিজেন্স কমিটি যে ইমপিচমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মারাত্মক কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ যেমন পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা বাড়াতে ট্রাম্প নাকি বিদেশি হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন৷ ইউক্রেনের সরকারের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন ৷ তিনি জাতীয় নিরাপত্তার তোয়াক্কা করেননি এবং সংসদের কার্যকলাপে বাধা দিতে অভূতপূর্ব অভিযান চালিয়েছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷

এমন পরিস্থিতিতে বুধবারই নিম্নকক্ষে প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট নিয়ে প্রথমে বিতর্ক হবে তারপর ভোটাভুটি হবে। সেখানে রিপাবলিকান সাংসদরা ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিলেও ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তাঁরাই জিতবেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এরপর বিষয়টি উচ্চকক্ষে যাবে। সেখানে রিপাবলিকানদের পাল্লা ভারী। মার্কিন আইন অনুযায়ী উচ্চকক্ষে দুই তৃতীয়াংশ ভোট প্রস্তাবের পক্ষে গেলে তবেই প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট সম্ভব। উচ্চকক্ষে সে সম্ভাবনা আছে বলে কেউই প্রায় মনে করছেন না।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আসাই যথেষ্ট লজ্জার। অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্প হলেন তৃতীয় ব্যক্তি যাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনল। 

এমএস/আরকে