ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২১ ১৪৩২

দালাল চক্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে লোক পাঠানোর নামে কোনো দালাল চক্র বা রিক্রটিং এজেন্সি ধোকায় ফেললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিদেশে দেশের ভাবমূরিত উজ্জ্বল রাখা ও লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা যেমন আমরা নিশ্চিত করেছি, তেমনি পুষ্টির নিরাপত্তা সৃষ্টি করেছি। আর আমরা সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যেখানে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কাজেই আমাদের নিজেদের দেশেও কর্মী চাহিদা আছে। আবার যেহেতু বিদেশেও চাহিদা আছে আর অনেকের আকাঙ্খা থাকে বিদেশে যাওয়ার, তাই বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সুবিধাও সৃষ্টি করার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে যারা কাজ করেন, তাদের প্রেরিত অর্থ আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। আমাদের রিজার্ভ, আমাদের বিভিন্ন কাজ, আমাদের যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করি, তার অধিকাংশই আসে এই প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে। কাজেই আমরা সবসময় এটাকে গুরুত্ব দেই। 

তিনি বলেন, বাইরে গিয়ে আমাদের কর্মীদের খুব কষ্ট করতে হয়। তাই তাদের এই কষ্টার্জিত অর্থটা যাতে যথাযথভাবে দেশের কাজে লাগে, আমরা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেই। আমরা চাই, তারা যেন বৈধভাবে এ টাকাটা পাঠায়। কারণ অনেক সময় এ টাকা অন্যভাবে পাঠাতে গেলে তারা ধোকায় পড়ে যায়। পরিবারের কাছে অর্থ পৌঁছায় না। আমরা এ জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছি, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আমরা ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা তাদের দিব। আর তাছাড়া, বৈধ চ্যানেলে যাতে পাঠাতে পারেন, সে ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। আর প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককেও বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। ওই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে, ওই ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে পারবে, ঋণ শোধ করতে পারবে, জমা করতে পারবে এবং ফিরে এসে সে টাকা সে ব্যয় করতে পারবে। সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিবাসনের গতি প্রকৃতি সবসময় পরিবর্তনশীল। আসলে মানুষের একটা স্বভাবজাত ইচ্ছে থাকে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া। শত শত বছর ধরে এ ধরনের প্রবণতা আমরা দেখতে পাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রম বাজার যাতে আরও সম্প্রসারিত হয়, সে ক্ষেত্রেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একটা আলাদা শ্রম বাজার গবেষণা সেল গঠন করেছে। অর্থাৎ, কোথায় আমাদের লোকের প্রয়োজন, আমাদের কর্মী কোথায় যেতে পারবে, কীভাবে কাজ করতে পারবে- সে বিষয়টা বিবেচনা করে যেন কর্মী প্রেরণ করা যায়, সে জন্য এই সেল গঠন করা হয়েছে। 

একে//