ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

স্মৃতি ভুলে যাওয়া রোগের নাম ‘ডিমেনশিয়া’। যাকে আমরা বলি স্মৃতিভ্রংশ। বর্তমান বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ ডিমেনশিয়া রোগে
আক্রান্ত। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫ কোটিরও বেশি। নিম্ন ও মধ্যম
আয়ের দেশে এই রোগের প্রকোপ বেশি। ঝুঁকিপুর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বাংলাদেশে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত
মানুষের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল এবং ডিমেনশিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনের সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ফ্রাঙ্ক শেফার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ডিমেনশিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশে ডিমেনশিয়া বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সেবা ইত্যাদি বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

ডিমেনশিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিত্সা নেই। তবে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্য পান ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে সবসময় বয়সের কারণেই যে এ রোগ হয়, তাও বলা যাবে না। বংশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ডিমেনশিয়ার বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট, চিকিত্সা, সেবা ও সমস্যা, বাংলাদেশে ডিমেনশিয়া নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যত্ করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা। 

এএইচ/