ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হামলার প্রতিবাদে সোমবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ

ঢাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১০:১১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

আহত ডাকসু নেতা আখতার হোসেন ও মশিউর রহমান

আহত ডাকসু নেতা আখতার হোসেন ও মশিউর রহমান

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

রোববার (২২ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক বলেন, ‘প্রশাসনের প্রশ্রয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী কয়েকদিন ধরে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ জন্যই তারা আজ হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে। কয়েককদিন আগেও তারা একইভাবে হামলা চালায়।

আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের বহিষ্কার করতে হবে। শাস্তি দিতে হবে। বারবার আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। প্রশাসন ব্যর্থ ভূমিকা পালন করছে। তাই প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের অভিযোগ আমলে নেয় নাই। যারা অভিযোগ দিতে গিয়েছে, তাদেরকে বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হয়েছে।’

হামলায় আহত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, ‘‘এর আগের হামলার অভিযোগ দেয়ার জন্য আজ আমরা ডাকসুতে যাই। তখন ছাত্রলীগের সঞ্জিত, সাদ্দামসহ বেশ কয়েকজন নুরের কক্ষে প্রবেশ করে। সঞ্জিত বলে, ‘আমি তোর থেকে বড় গুন্ডা। এখান থেকে দুই মিনিটের মধ্যে বের হয়ে যাবি। তা না হলে মেরে ফেলব।’ এ সময় সেখানে নুরের কয়েকজন আত্মীয় ছিল। তাদেরকেও মেরে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর রুমের দরজা-লাইট বন্ধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সোহেল ফারাবীসহ কয়েকজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। ঢাবির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের নিরাপত্তা নেই। যে কোনও সময় আমাদের মেরে ফেলবে তারা।’’

এই সময় উপস্থিত ডাকসুর ভিপি নুরেরর বাবা মো. ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। নুরের নাগরিক অধিকার আছে। বারবার তার ওপর হামলা-নির্যাতন করা হয়। কেন আমাদের ওপর অনধিকার চর্চা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, কেন বারবার হামলা হয়? আপনার কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, এর সুষ্ঠু বিচার যেন হয়।’

এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত আহত এপিএম সোহেলের মা। তিনি বলেন, ‘এর আগেও সোহেলকে মারধর করা হয়েছে। জেল খাটিয়েছে। কোনও বিচার হয় নাই। কেউ বিচার করে না।’

এনএস/