ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

হলুদে থাকা কারকুমিন মস্তিষ্কের অসুখ সারায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে, তেমনি মানসিক ও স্নায়বিক নানা সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। এসব মানসিক সমস্যার মধ্যে অ্যালজাইমার্স অন্যতম। সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে হলুদের মধ্যে উপস্থিত ‘কারকুমিন’ অ্যালজাইমারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হলুদের অনেক গুণাগুণ, তাই যুগ যুগ ধরে তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইদানীং অনেক রোগের ক্ষেত্রে  হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। পারকিনসনস, ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার্সের মতো স্নায়ুরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও হলুদ খুবই কার্যকরী বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও।

জাপানের ওটসুর শিগা উইনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষকদের দাবি, হলুদে থাকা কারকুমিন মস্তিষ্কের অসুখ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কারকুমিন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে অ্যালজাইমার্স রোগীদের বিটা-অ্যামিলয়েড প্লাক ধ্বংস করে এর ক্ষতিকর প্রভাব দ্রুত কমিয়ে দেয়। এই বিটা-অ্যামিলয়েড হল এক ধরনের প্রোটিন ফ্র্যাগমেন্টের সমন্বয় যা মস্তিষ্কে নিউরন ধ্বংস করে অ্যালজাইমারের ক্ষতিকর প্রভাবকে আরও প্রকট করে তোলে। ছোট ছোট অণুর সমন্বয়ে এই প্রোটিন ফ্র্যাগমেন্টকে ধ্বংস করা খুব কঠিন। সেই কঠিন কাজটি করতে পারে হলুদ।

জাপানি গবেষকরা চেষ্টা করছেন অটোমাইজারের মাধ্যমে কারিকুমিন এরোজল তৈরি করার। তাঁরা কারিকুমিনের মতোই এক মলিকিউল (FMeC1) গবেষণার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। তারপর দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কারিকুমিন এরোজল তৈরি করতে সক্ষম হলেই শিরার মাধ্যমে অ্যালজাইমারের ওষুধ প্রয়োগের যন্ত্রণাদায়ক চিকিত্সা পদ্ধতি থেকে রোগীকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।

এএইচ/