ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গ্রন্থের দ্বিতীয় পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:০৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গ্রন্থের দ্বিতীয় পাঠ  পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গ্রন্থের দ্বিতীয় পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৩ ডিসেম্বর একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত গ্রন্থের দ্বিতীয় পর্যায়ের পাঠ পর্যালোচনা।

এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বস্তুতপক্ষে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গ্রন্থাকারে যে সব আলোচনা হয়েছে, এর অধিকাংশ প্রকাশিত হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি প্রকাশের পূর্বে। এই গ্রন্থগুলো প্রকাশের পর নতুন করে বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। লেখকরা বই লেখার আগে অন্তত আর্কাইভ থেকে পূরনো নথিপত্র দেখলে ভুল কম হবে। বড় বড় কমিটি হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনেক বই প্রকাশ করছেন। কিন্তু আমরা অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুর একটি জীবনীগ্রন্থ পাইনি।

সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলনে, ‘৭৫-এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। অনেক ঘটনা গেছে, বঙ্গবন্ধুকে সাধনা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস সব সময় ছিলো। জন্মশতবর্ষে আমরা ছোট করে কাজটা শুরু করলাম। একাডেমির লাইব্রেরীতে একটা বঙ্গবন্ধু কর্নার করেছি। এ পর্যন্ত দুইশটি বই পর্যালোচনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও করা হবে।’

লেখক ও গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন- তপন বাগচী, সৈকত হাবীব, মনি হায়দার, কাজল রশিদ এবং সাইমন জাকারিয়া। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে গবেষণা করেন ড. কাজল রশিদ শাহিন। তিনি বলেন, ‘এই পাঠ পর্যালোচনার ফলে মনে হলো প্রত্যেকটি লেখা একধরনের নিবন্ধ, যা পত্রিকায় লেখা নিবন্ধের মতো। সেইদিক থেকে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে না। কোনও কোনও দিকে থেকে তথ্যগতও ভুল রয়েছে।’ 

কথা সাহিত্যিক মনি হায়দার বলেন, ‘বইয়ের সম্পাদনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ প্রকাশক বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বই প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি সম্পাদনা পরিষদ থাকা প্রয়োজন, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই প্রকাশের পূর্বে রিভিউ করবেন। শিশুদের নিয়ে প্রচুর বই প্রকাশিত হচ্ছে। সঠিক তথ্যসমৃদ্ধ বই শিশুদের হাতে পৌঁছাতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।’

দ্বিতীয় পযায়ে দেশের বিশিষ্ট ২০ জন লেখক ও গবেষক ১০০টি গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছেন। কর্মসূচি সমন্বয় ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন- শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা আবু ছালেহ মো: আবদুল্লাহ। আলোচনা পর্ব শেষে ছিল একাডেমির নৃত্যশিল্পী ও শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা। 

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা গ্রন্থ নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বর্তমানে সংগৃহিত গ্রন্থের সংখ্যা একহাজার, এই সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

এসব গ্রন্থ পাঠ নিয়ে ৫ আগস্ট ২০১৯ প্রথম পাঠ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং পর্যালোচনাগুলো নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশেরও কাজ চলছে।

এনএস/