ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

মেদ না কমার অন্যতম কারণ ফোন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:৩১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার

স্মার্টফোন ছাড়া এক মিনিটও চলতে পারেন না অনেকে। শুতে যান, খেতে বসেন, হাঁটতে যান, ঘুরতে যান- যেখানেই যান মন থাকে মোবাইল ফোনে। কিন্তু জানেন কি এই ফোনের কারণে হাজার চেষ্টা করেও শরীরের মেদ কমাতে পারছেন না আপনি? 

সব সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকা মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যেস নয়। ফোন ঘাঁটার অভ্যেসের কারণে শুধু ঘুমের ব্যাঘাতই ঘটছে না, এই অভ্যেস শরীরের মেদ কমাতেও দিচ্ছে না। এবার জেনে নিন কী ভাবে মোবাইল ফোন মেদ কমানোয় বাঁধা সৃষ্টি করে...

* মোবাইলের থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত কঠিন। কী নোটিফিকেশন এল, স্ট্যাটাস আপডেট করার পরেও এখনও কেন নোটিফিকেশন এল না, এই চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ে না। মোবাইল ফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোন কিন্তু ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক।

* অনেকে ওজন কমানোর জন্য হাঁটাহাটি করেন। যদি মোবাইল হাতে হাঁটতে বেরোন, আপনার চোখ বার বার চলে যাবে ফোনের স্ক্রিনের দিকে। ফলে আপনার হাঁটার বেগও অনেকটাই কমে যাবে। যথেষ্ট জোরে না হাঁটলে ওজন কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।

* খাওয়ার সময় কি চোখ থাকে ফোনের দিকে? তাহলে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোনে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আপনার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল। তাই ফোন নিয়ে খেতে বসলে কিন্তু আপনার ডায়েটের দফারফা হবেই। খাওয়ার দিকে মন না থাকায় আপনার পেট যে ভরে গেছে, তাও আপনি সঠিক বুঝতে পারবেন না।

* বেশি রাত পর্যন্ত ফোন ঘাঁটাঘাটির অভ্যেস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। ফোন দেখতে গিয়ে রাতে ঘুম ঠিকমতো হয় না। আর ঘুম ঠিক না হলে কিন্তু স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়ে ওজন বাড়বে। রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে না পারলে সকালে উঠে ব্যায়াম কিংবা হাঁটাহাটিও তেমন করা যায় না। ফলে মেদ যেখানে ছিল, সেখানেই থেকে গেল।

* মোবাইলের প্রতি আসক্তির কারণে ব্যায়াম করার সময় আপনি প্রায়শই মন দিতে পারেন না। মনে পড়ে থাকে কী নোটিফিকেশন এল, সেদিকে। যে কাজটা করছেন, তা মন দিয়ে না করলে তার উপকার কিছুই পাওয়া যায় না। জিমে গিয়েও ওয়ার্ক আউটে মন দিতে না পারলে মেদ কমানো আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।

এএইচ/