ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

যারা ভোট দিলেন, তারাই নাগরিক নন! প্রশ্ন মমতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

যাদের ভোটে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, এখন তাদের কাছেই নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে-সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এবার এই যুক্তিতেই মোদি সরকারকে হুঙ্কার দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তার প্রশ্ন, ‘ভোট নেওয়ার সময় যারা ‘নাগরিক’ এখন তারা নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবেন না কেন? তাদের আবার নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে কোন যুক্তিতে?’

মমতা বলেন, ‘কাউকে বাংলা কিংবা দেশছাড়া হতে দেব না। আপনাদের কোনো চিন্তা নেই। আপনাদের লড়াই আমি লড়ব। আপনাদের সব চিন্তা, সব দায় আমাকে দিন। দেখি কারা আপনাকে এ দেশ থেকে তাড়াতে পারে।’  

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এ রাজ্যের সব উদ্বাস্তু বসতিকেই তার সরকার বৈধতা দিয়েছে। ফলে কোনো বসতির বাসিন্দাকে কেউ তাড়াতে পারবে না। আজ না হলে কাল তাদের সকলেই জমির অংশ পাবেন।’

উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার এই সীমান্ত শহরে দাঁড়িয়ে দুই জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষকেও নতুন নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে সতর্ক করে দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘নয়া আইনে কিন্তু নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিচ্ছে না, যা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।’ 

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘উদ্বাস্তু মতুয়াদের অনেকেই ইতিমধ্যে নাগরিক হয়ে গিয়েছেন। প্রমাণাভাবে যদি তাদের নাম জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে না ওঠে, তা হলে তাদের ফের বিদেশি ঘোষণা করে পাঁচ বছর পরে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তা হলে যারা চাকরি বা ব্যবসা করেন, যে ঘরবাড়ি করেছেন তার কী হবে?’ 

বিজেপির নাম উচ্চারণ না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটা দল লিফলেট বিতরণ করছে। ওদের বিশ্বাস করবেন না। যারা বোঝাতে আসবে, তাদের প্রশ্ন করবেন। শুনেছি, নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকাও তুলছে।’

এদিকে, এনআরসির প্রতিবাদে আজও উত্তাল ভারতের বিভিন্ন শহর। রাজপথে নেমেছে বামপন্থী সংগঠনগুলো। চলছে নজিরবিহীন ধরপাকড়।

অন্যদিকে, নরওয়ে থেকে ভারতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক দেশটির বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় ওই নারী পর্যটককে মোদি সরকারের কঠোর বার্তার মুখে ভারত ছাড়তে হয়েছে। 

এআই/