ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শব্দের চেয়ে ২০ গুণ গতির মিসাইল মোতায়েন রাশিয়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৫:২৯ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

শব্দের চেয়ে বিশ গুণ গতিতে চলতে সক্ষম অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইল

শব্দের চেয়ে বিশ গুণ গতিতে চলতে সক্ষম অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইল

শব্দের চেয়ে বিশ গুণ গতিতে চলতে সক্ষম অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইলের প্রথম রেজিমেন্ট মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিসাইল মোতায়নের স্থান জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি উরাল অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র। 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই মিসাইলগুলো শব্দের চেয়ে বিশগুণ গতিতে ছুটতে পারবে এবং রাশিয়াকে অন্যান্য দেশের চেয়ে সামনে এগিয়ে নিয়েছে। এসব মিসাইলে গাইড সিস্টেম থাকছে যা এগুলোর চলার সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং প্রতিরোধ করা অসম্ভব করে তুলবে।’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, ‘অ্যাভনগার্ড হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকল নামের এই প্রযুক্তি ২৭ ডিসেম্বর মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ চালু করা হয়েছে।’ এই মিসাইল ব্যবস্থাটি বর্তমান বা ভবিষ্যতের যে কোনও মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের আর কোনও দেশের কাছে সুপারসনিক অস্ত্রও নেই, আন্তঃ মহাদেশীয় মিসাইল দূরের কথা।’

২০১৮ সালের মার্চ মাসে বার্ষিক স্টেট-অফ-দ্য-নেশন বক্তৃতার সময় এই মিসাইলের উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্ত্রটির একটি পরীক্ষা চালানো হয়, যাতে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরের একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে মিসাইল। অ্যাভনগার্ড নামের এই মিসাইলটি দুই মেগাটন আকৃতির একটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিসাইলটি ছবি প্রকাশ করেছে। তবে অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এটির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, ‘অ্যাভনগার্ড মিসাইল সিস্টেমের ক্ষমতা সম্পর্কে রাশিয়ার দাবি নিয়ে তারা কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে যাবে না।’ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নিজস্ব হাইপারসনিক মিসাইল কর্মসূচী আছে। নতুন স্টার্ট চুক্তির আওতায় গত ২৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মিসাইল ব্যবস্থাটি পরিদর্শন করার সুযোগ দেয় রাশিয়া।

ওই চুক্তির আওতায় দুই দেশ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার কমিয়ে আনার ব্যাপারে একমত রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এই নতুন স্টার্ট চুক্তি, যার মেয়াদ রয়েছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এ বছরের অগাস্ট মাসে রাশিয়ার সঙ্গে ১৯৮৭ সালে করা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি (আইএনএফ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এমন একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি চান, যেখানে রাশিয়া ও চীন স্বাক্ষর করবে।’

এমএস/এনএস