ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

বাগেরহাটে বাড়ছে শ্বাসকষ্টের রোগী, শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ভোগান্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

বাগেরহাটে দিন যত যাচ্ছে শীতের প্রকোপ ততই বাড়ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। প্রবল শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা শাসকষ্টজনিত কারণে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। 

গেল দুই দিনে (বৃহস্পতিবার-শুক্রবার) প্রায় ২ শতাধিক শ্বাসকষ্টের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন জেলার প্রধান এই চিকিৎসালয়ে। এ সংখ্যা গেল কয়েক দিনের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণের কম হবে না।

এদিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু রোগীর স্বজনরা। সদরহাসপাতালে এসে শিশু বিশেষজ্ঞ না পেয়ে বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে। যাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই তারা সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে পড়ে আছেন সদর হাসপাতালে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সামনে থেকে অসুস্থ শিশুর মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার সন্তানের সর্দি লেগেছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এখানে আসার পরে জানলাম হাসপাতালে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাই চলে যাচ্ছি। তবে কোথায় যেয়ে চিকিৎসা করাবো তা জানিনা। কারণ এর আগে আলীয়া মাদরাসা রোডস্থ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গেছিলাম সেখানেও চিকিৎসক নেই।’

আরও কয়েক জন শিশু রোগীর স্বজনকেও এভাবে হতাশ হয়ে চলে যেতে দেখা যায়। জেলার প্রধান এই হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকই। শুধু শিশু বিশেষজ্ঞ নয় অনেক চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে।

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কাওছার মল্লিক বলেন, ‘ঠান্ডা লেগেছে প্রচুর। কাজও করতে পারিনা। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

হরিণখানা এলাকার রুস্তম তালুকদার বলেন, ‘প্রচুর ঠান্ডায় জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়েছে। গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছ থেকে ঔষধ খেয়েছি, তারপরও কমেনি। তাই হাসপাতালে এসেছি।’

বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. পুলক দেবনাথ বলেন, ‘শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় শিশু রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও যারা আসছে স্থানীয়ভাবে আমরা তাদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।’

এআই/এসি