ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

যশোরে গোলাপী বাঁধাকপিতে বাজিমাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার

ভিতরে গোলাপী রঙ। চারপাশের পাতা সবুজ। সুস্বাদু এই সবজির নাম হলো পিংক ক্যাবেজ। কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে পরিচিত গোলাপী রঙের বাঁধাকপি হিসেবে। 

চলতি মৌসুমে এই কপি প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে। গোলাপী রঙের বাঁধাকপি চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরা। প্রথমেই বাজিমাত করেছে এ সবজি। আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন তারা। আগামীতে গোলাপী রঙের বাঁধাকপির চাষ বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আমিন উদ্দিন দুই বিঘা, বাবু দুই বিঘা, মিন্টু দুই বিঘা, বাগডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার হোসেন এক বিঘা, শহিদুল ইসলাম এক বিঘা, আব্দুল মান্নান এক বিঘা জমিতে গোলাপী রঙের বাঁধাকপির চাষ করেছেন। 

চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ‘রুবি কিং জাতের পিংক ক্যাবেজ বাঁধাকপি এই এলাকায় প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে। তবে গত মৌসুমে আমিন উদ্দিন পরীক্ষামূলক ৪টি কপি উৎপাদন করে অনেক চাষির নজর কেড়েছিলেন।’

ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এবার প্রায় চার হেক্টর জমিতে গোলাপী রঙের বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। আগামীতে চাষের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, ‘সাধারণ বাঁধা কপির চেয়ে এই কপিতে বেশি দাম পাচ্ছে। আবার ওজনেও বেশি।’ 

সবজি চাষী আমিন উদ্দিন জানান, ‘তার দুই বিঘা বাঁধা কপিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনবারে এক হাজার পিস কপি বাজারজাত করে দাম পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। ২৫ টাকা দরে প্রতি কেজি কপি বিক্রি করেন। এখনো তার ক্ষেতে আনুমানিক ৯ হাজার পিস পাতা কপি রয়েছে।’

দাম কম বেশি হলেও এখনো তিনি দুই লাখ টাকার কপি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। গোলাপী রঙের বাঁধাকপি চাষ করে তার মতো অনেক চাষি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। 

আমিন উদ্দিন আরো জানান, ‘ভারতে বেড়াতে গিয়ে তিনি এই বাঁধা কপির বীজ কিনেছিলেন। এই জাতের বাঁধা কপির চাষ তিনিই প্রথম করেছিলেন। 

সবজি চাষি মনোয়ার হোসেন ও মিন্টু জানান, ‘তারা প্রথমবারের মতো এই বাঁধাকপি চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছেন। নতুন হিসেবে বাজারেও বেশ চাহিদা রয়েছে গোলাপী রঙের বাঁধাকপির।’

চুড়ামনকাটি, আব্দুলপুর, সাতমাইল বাজারে এই বাঁধাকপির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বাজারজাতের প্রথম অবস্থায় খুচরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, ‘সাধারণ বাঁধাকপির চেয়ে গোলাপী রঙের বাঁধাকপি চাষ করে চাষিরা আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে যশোর সদরে মোট ২০ হেক্টর জমিতে এই কপির চাষ হয়েছে।’ 

এআই/এসি