ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা কোয়ান্টাম ল্যাব : ডা. মতিউর রহমান মোল্লা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

দেশের মোট রক্ত চাহিদার অন্যতম একটি অংশ পূরণ করছে কোয়ান্টাম ল্যাব। এখানের রক্তের স্ক্রিনিং সর্বোৎকৃষ্ট মানের। তাই আমার রোগীদেরও যখন রক্তের প্রয়োজন হয়, আমি এখানে পাঠাই। গুণগত মানের জন্যে বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে কোয়ান্টাম ল্যাব ভরসার একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে। 

এপোলো হাসপাতালের ম্যাক্সিলো-ফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান মোল্লা উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। গত ২৯ ডিসেম্বর কাকরাইলস্থ কোয়ান্টাম মেডিটেশন হলে ‘১৫৩তম শত আজীবন রক্তদাতা সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. মতিউর রহমান মোল্লা। এই অনুষ্ঠানে ন্যূনতম তিন বার রক্তদান করেছেন এমন ৮৮ জন ডোনারকে সম্মাননা সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ডা. মতিউর রহমান মোল্লা রক্তদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা নিঃস্বার্থভাবে রক্তদান করছেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। বর্তমান সময়ে যেভাবে মানুষের নৈতিকতার অবক্ষয় দেখছি, সেখানে অপনারা ভালো কাজ করছেন। আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। 

আমি শুরু থেকেই দেখছি কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কীভাবে বিকশিত হচ্ছে। তারা শুধু স্বেচ্ছা রক্তদানই কাজ করছে না, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। যেমন, বান্দরবান লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও চিকিৎসাকেন্দ্র শাফিয়ান। এই সেবামূলক কাজগুলো পরিদর্শন করে আমি খুবই আশাবাদী হয়েছি।

রক্তদাতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন বলেই পেশাদারদের কাছ থেকে খুব কম রক্ত নিতে হচ্ছে। কিন্তু সমাজের চিত্র এখনো পুরোপুরি পাল্টে যায়নি। তাই শুধু নিজেরা রক্ত দিলে হবে না, অন্যদেরও রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যারা রক্ত দিচ্ছেন তাদের কিন্তু এ উপলক্ষে হেপাটাইসিস-বি, হেপাটাইসিস-সি, সিফিলিস, এইডস ও ম্যালেরিয়া এই পাঁচটি টেস্ট হয়ে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। তিনি রক্তদাতা এবং অতিথিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘রক্তদানের মতো এমন মহৎ একটি কাজের যথাযথ পুরস্কার মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, স্রষ্টাই এর উপযুক্ত পুরস্কার দিতে পারেন।’

এএইচ/