ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সোলাইমানি হত্যা: কঠোর প্রতিশোধের হুশিয়ারি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন রকেট হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। যেসব অপরাধী সোলাইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

শুক্রবার সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় এক শোকবার্তায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। সর্বোচ্চ নেতা ইরানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন। খবর পার্সটুডে’র।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তানি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন জেনারেল সোলাইমানি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করার যে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন শেষ পর্যন্ত সেই উচ্চ মর্যাদায় তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তবে তার রক্ত ঝরেছে মানবতার সবচেয়ে বড় দুশমন ও সবচেয়ে জালিম শাসক যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, বিগত বছরগুলোতে জেনারেল সোলাইমানি যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তার পুরস্কার হিসেবে তিনি শাহাদাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার চলে যাওয়ায় তার রেখে যাওয়া পথ বন্ধ হবে না।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, শহীদ সোলাইমানি প্রতিরোধ আন্দোলনের একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলে এই আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ প্রতিটি কর্মী তার শাহাদাতের বদলা নিতে প্রস্তু রয়েছেন। কাজেই সব বন্ধু ও শত্রুর জেনে রাখা উচিত জেনারেল সোলাইমানির শাহাদাতের পর দ্বিগুণ উৎসাহে প্রতিরোধ আন্দোলন এগিয়ে যাবে এবং এই আন্দোলনের বিজয় অনিবার্য। এই প্রিয় আত্মোৎর্গকারী শহীদের অনুপস্থিতি আমাদের জন্য কষ্টকর হলেও তার রেখে যাওয়া আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় তার হত্যাকারী ও অপরাধীদের জন্য হবে আরও বেশি তিক্ত।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত চারটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ওই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। ইরাকের সেনা জানিয়েছে, মধ্যরাতের পরে হাশাদের কনভয় লক্ষ্য করে বিমানবন্দরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালানো হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ আটজনের মৃত্যু হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। হোয়াইট হাউস টুইটে জানায়, বিদেশে মার্কিন অফিসারদের সুরক্ষায় প্রেসিডেন্টের নির্দেশে সোলেইমানিকে হত্যা করে চূড়ান্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যিনি ইরানিয়ান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস- কুদ ফোর্সের প্রধান ছিলেন। আগেই কুদ ফোর্সকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

একে//