ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শীতে এই ৫ খাবার শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

শীতের রোগব্যধি বেশি কাবু করে ছোটদের। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ফ্লুতে আক্রান্ত হয় শিশুরা। সন্তান অসুস্থ হলে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন মা-বাবা। তখন চিকিৎসক ও ওষুধের স্মরণাপন্ন হন তারা। কিন্তু শিশুদের যদি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় তাহলে ডাক্তারদের কাছে তেমন একটা দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। যে খাবারগুলো ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তা জেনে নিন... 

মওসুমী ফল ও শাকসবজি
চিকিৎসকরা যে কথাটা প্রায়ই বলেন তাহলো- মওসুমী রোগব্যধির প্রতিষেধক সেই সময়ের ফল ও শাকসবজিতে রয়েছে। তাই শীতে নানা রোগব্যধি দূর করতে শিশুদেরকে এই সময়ের শাকসবজি ও ফল দিতে পারেন। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন। যা শিশুদের রোগপ্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। শিশুর দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পেয়ারা, কমলা, পেঁপে, কুল এবং শীতকালীন সব শাকসবজি রাখতে পারেন।

টকদই
ঠাণ্ডা বলে ভুলেও টকদই খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর শক্তিশালী মাধ্যম টকদই। এতে থাকা প্রদাহ বিরোধী উপাদান শিশুদের সুরক্ষা করে। স্বাস্থ্যকর এই খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম ও পুষ্টি উপাদান শরীর মজবুত এবং হাড় গঠনে সহায়তা করে।

প্রাণিজ প্রোটিন
প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া প্রোটিনে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা দেহের কোষের সুরক্ষা করে। এই প্রোটিন পাওয়া যায় মাছ, পনির, ডিম এবং দুধে। তাই শীতে বাজারে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়, দামও মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। শিশুদের খাদ্যে রাখুন মাছ ও শস্যজাতীয় সবজি।

বাদাম
আখরোট এবং কাজুবাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরে অসুস্থতা প্রতিরোধ করে। তাই শিশুদের প্রতিদিন দিন বাদাম। নাশতার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন আখরোট। এছাড়া দেশীয় বাদামও দিতে পারেন।

মসলাজাতীয় খাবার
শিশুদের খাবার রসুন, আদা, হলুদ প্রভৃতি মসলা দিয়ে রান্না করুন। এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি রক্তে শ্বেত কণিকা উৎপাদন করতে সহায়তা করে। রসুন সর্দি এবং ফ্লু উপসর্গ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অবশ্যই ভেজালমুক্ত মসলা দিবেন। কারণ বাজারের হলুদ ও মরিচের গুঁড়ায় কিন্তু ভেজাল থাকে। 

এএইচ/