1. প্রচ্ছদ
2. জাতীয়

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির পথে যারা যাবে, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবেনা বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারন করেন। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষার পাশাপাশি দেশগড়ার কাছে অংশ নিতেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আরো জানাচ্ছেন মামুন রশিদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান। এতে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানান উপস্থিত হাজার হাজার সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মঞ্চে উঠলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ছাত্রলীগের নেতারা। দলীয় সঙ্গীত ও দেশাত্ববোধক গান দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও ওবায়দুল কাদের। এরপর প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষন দেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশের মানুষের সেবায় কাজ করার জন্য ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, তরুন প্রজন্ম যাতে বিপথগামী না হয় সেজন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। নির্দেশ দেন দেশ গড়ার কাজে অংশ নেয়ার। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মাটিতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের কোনো স্থান দেয়া হবেনা। জিয়া, এরশাদ, খালেদা ধাপে ধাপে জাতিকে বেইজ্জত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতাদেরও বিচার করতে হবে। অনুষ্ঠানে শক্র ও শনিবার ছাড়া অন্যদিনগুলোতে রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন না করার ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ নেতারা।