ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

দশ হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ায়!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

তীব্র খরার মুখে অস্ট্রেলিয়া। অনেকদিন ধরে চলছে দাবানাল। বর্তমানে দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। দাবানালে প্রায় ৫০ কোটি বণ্যপ্রাণী ধ্বংস হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এর মধ্যে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় দশ হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই অঞ্চলের আদিবাসী নেতারা। আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) হেলিকপ্টার থেকে পেশাদার শ্যুটাররা গুলি করে হত্যা করবে উটগুলোকে।

তীব্র খরার মধ্যে পানির সন্ধানে উটগুলো আশেপাশের জনবসতি তছনছ করে ফেলছে। এই উৎপাত থেকে বাঁচার জন্যই এ রকম হিংস্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী নেতারা। দশ হাজার উট হত্যা করতে তাদের পাঁচ দিন সময় লাগবে বলে ধরে নিয়েছে তারা। 

এছাড়া মিথেন গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে এই উটগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নেও ভুমিকা রাখছে বলে জানানো হয়েছে। এই উটের মলে বছরে এক টন পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়।

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে আদিবাসী সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মারিটা বেকার জানিয়েছেন, এমনিতেই তীব্র গরম ও খরার মধ্যে মানুষ তাদের জীবন যাপনে হিমশিম খাচ্ছে। তার ওপর ওই উটগুলো মানুষের বাসাবাড়িতে পানির সন্ধানে এসে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি এয়ারকন্ডিশনার মেশিন থেকে গড়িয়ে পড়া পানি থেকে তাদের পানি পান করতে দেখা যাচ্ছে।

দেশটির জাতীয় বন্য উট ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের দাবি, এই উটদের সংখ্যা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে প্রতি নয় বছরে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

কার্বনডাই অক্সাইড নিয়ন্ত্রণে কাজ করা কার্বন ফার্মিং স্পেশালিস্টস রিজেনকোর প্রধান নির্বাহী টিম মুরে বলেন, ‘এক মিলিয়ন উট প্রতিবছর এক টনের সমপরিমাণ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। অর্থাৎ, ৪ লাখ গাড়ি থেকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, সেই পরিমাণ কার্বনডাই অক্সাইড সৃষ্টির জন্য দায়ী উট।’

যদিও অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উটগুলোর দ্বারা নিঃসরিত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো নথি নাই। কারণ এই উটগুলো গৃহপালিত নয়।
সূত্র : ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল

এএইচ