ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ইরানে বিমান বিধ্বস্ত: সন্দেহের তীর কোন দিকে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৫ এএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১১:১৯ এএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

ইরানের রাজধানী তেহরানে ১৮০ আরোহীসহ ইউক্রেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার সকালে ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আছড়ে পড়ে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি।

প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, বিমানটি তেহরান থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। যে জায়গাটিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

দেশটির জরুরি সেবার প্রধান কর্মকর্তা ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, বিমানটিতে আগুন ধরেছে। আমরা উদ্ধারকারীদের সেখানে পাঠিয়েছি। আমরা হয়ত কিছু যাত্রীর জীবন বাঁচাতে পারব।

কয়েকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে। এই হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। কিন্তু গত অর্ধ-শতাব্দীর বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর গোটা ইরান জুড়ে চলছে শোকের মাতম। হামলার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ইরান। সেই সূত্র ধরে আজ বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত দুইটি মার্কিন বিমান ঘাটিতে ১২টির বেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে এ হামলায় হতাহত হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেনি কেউ।

এই হামলা নিয়ে টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘অল ইজ ওয়েল’!ইরাকে অবস্থিত দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত যা হয়েছে খুব ভালো হয়েছে! বিশ্বের যে কোনো জায়গায় আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী আছে!

হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ সকালে ইরানে ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনগামী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই উত্তেজনাকর মুহূর্তে হঠাৎ করে ইরানে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া স্বাভাবিকভাবে দেখছে না বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকদের মতে, বিমান বিধ্বস্তে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান সংঘাতের সঙ্গে এই বিমান দুর্ঘটনার কোনও সম্পর্ক আছে কি না সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানের এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত বিপ্লবী গার্ড করপোরেশনের (আইআরজিসি) ‘কুদস বাহিনী’র প্রধান জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

একে//