ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষকের পরিচয় মিলেছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যাক্তির পরিচয় মিলেছে। ওই ব্যাক্তির নাম মজনু (২৮) বলে জানিয়েছে র‌্যাব। 

ধর্ষক মজনু ভবঘুরে জীবনে অভ্যস্ত। সে মাঝে মাঝে হকারি করে পোশাক বিক্রি করত। 

ধর্ষক যে ওই ব্যাক্তিই তা নিশ্চিত করে র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক নিজেও অপরাধের দায় স্বীকার করেছে। সেই সাথে ধর্ষকের সামনের দুটি দাঁত ভাঙা বলে মেয়েটি যে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেটাও মিলে গেছে। এছাড়া ভুক্তভোগী মেয়েটিও ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবককে ওই শিক্ষার্থীর সামনে হাজির করা হলে এক দেখাতেই তাকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন মেয়েটি।

র‌্যাব জানায়, ধর্ষককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও চার্জার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি টর্চ লাইট জব্দ করা হয়েছে। ধর্ষক কুর্মিটোলা এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রেনের কামরায় বসবাস করত।

এর আগে র‌্যাব সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনের মধ্যে একজন স্বীকার করে। পরে সে বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা র‌্যাবকে জানায়। পরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ধর্ষককে মেয়েটির সামনে হাজির করা হয়।

এদিকে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সরওয়ার-বিন-কাশেম জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত আজ বুধবার দুপুর দেড়টায় র‌্যাবের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাস ক্ষণিকায় রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। 

ফলে হাসপাতালে নিলেও তার জ্ঞান ফিরতে কিছুটা সময় লাগে। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।