ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

সাইবার ক্রাইমের কারণে ছেলেমেয়েরা বিপথে যায়, তাই সাইবার ক্রাইম যেগুলো হচ্ছে সেসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯’ সম্মাননা পদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছোট ছোট শিশুদের থেকে শুরু করে তরুণ সমাজকেও সচেতন করা একান্ত দরকার। সাইবার ক্রাইম যেগুলো হচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ অনেক সময় এটার জন্য ছেলেমেয়ে বিপথে চলে যায়; অনেক ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়; অনেক ধরনের ক্রাইমের সঙ্গে তারা জড়িয়ে পড়ে। তাই এটা যেন না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আপনারা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন আর তারা কী দেখছে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। আমাদের সোনার ছেলেমেয়েরাই এ দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। সেভাবেই পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি।

আমরা বহুমুখী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার যে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি, তাতে জনগণ লাভবান হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অন্তত আমরা এতটুকু দাবি করতে পারি যে আজকের বাংলাদেশ সত্যিকারভাবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আমরা এখন বলতে পারি যে, আমাদের দেশের মানুষের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আমি আজকে যে পুরস্কার দিলাম, যারা পুরস্কার পেয়েছে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এ রকম পুরস্কার যেন প্রতিবার আরও বেশি বেশি করে দিতে পারি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ২০১৭ সাল থেকে ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে পালন করে যাচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশে কানেকটিভিটি, দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্মেন্ট, আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ঘিরে কাজ করে যাচ্ছি। এর ফলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে এই দেশকে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার দায়িত্বও তিনি নিয়েছিলেন ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসার পর। আমাদের যে সংবিধান তিনি দিয়ে গেছেন এর সঙ্গে সঙ্গে আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি- তার ভিত্তিটাও তিনি রচনা করে দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনার টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের সদস্য পদ বাংলাদেশ অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বেই আমাদের প্রতিটি অর্জনের ভিত্তিটা তিনি রচনা করে গেছেন। যখন রাষ্ট্র পরিচালনা করতে যাই, তখন প্রতিটা ক্ষেত্রেই দেখি তার সেই অবদান রয়েছে। এক দিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, অপরদিকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বহুমুখী সেবা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার যে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি, তাতে জনগণ লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি এখন বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম হয়ে থাকে। মানুষ যেন তাৎক্ষণিক সেবা পেতে পারে, তার জন্য ৯৯৯, ৩৩৩, ১০৯- এসব জায়গায় ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সেবা পায়। তাতে সাধারণ মানুষের ভেতর আস্থা-বিশ্বাস যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তৈরি হয়েছে, তেমনি সরকারের ওপরও এসেছে যে কোনও সমস্যা হলে তার একটা সমাধান পাওয়া যায় বা নিরাপত্তা পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে দিচ্ছি। আমাদের যে রফতানি খাত আছে- যেমন আমাদের সব থেকে বড় রফতানি খাতটা হচ্ছে পোশাক শিল্প। ধীরে ধীরে এটাকে আমরা বহুমুখী করতে চাচ্ছি। আর সেখানে আমরা আইটি খাতটাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি। কারণ আইটি খাতে আমরা রফতানি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারব।

একে//