ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স যুক্তরাষ্ট্রকে দেবে না ইরান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:২৪ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

তেহরানে ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনীয় বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ফ্লাইট রেকর্ডারটি বিমানের প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে না ইরান।  উদ্ধারকৃত ব্লাক বক্সের মধ্যে রয়েছে একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার।  ইরানের রেড ক্রিসেন্টের একটি দল ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (সিএও) প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেছেন, ‘আমরা ব্ল্যাক বক্সটি বিমানটির প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেব না। এই দুর্ঘটনাটি ইরানের বিমান সংস্থা তদন্ত করবে তবে ইউক্রেনীয়রাও উপস্থিত থাকতে পারে।'

বৈশ্বিক বিমান বিধিমালার অধীনে এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাধারণত এসব তদন্তে যুক্ত থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কয়েকটি দেশই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।

সাধারণত মার্কিন সংস্থা বোয়িং সম্পর্কিত যে কোনও আন্তর্জাতিক তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড ভূমিকা রাখে। তবে বোর্ডকে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুসারে কাজ করতে হয়।

মি. আবেদজাদেহ বলেছেন যে, এটি এখনও পরিষ্কার নয় কোন কোন দেশ এই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করবে। তবে বোয়িং বলছে যে, ‘তারা যে কোনও প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত’।

এদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে, তার দেশ তদন্তে ভূমিকা রাখতে চায় এবং এজন্য তিনি প্রযুক্তিগত সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন।

ইউক্রেনের তেহরান দূতাবাস এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রথমে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বললেও পরে বিবৃতিটি সরিয়ে দিয়ে তারা জানায়, কমিশনের তদন্তের আগে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোন মন্তব্যই আনুষ্ঠানিক নয়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত এই বিপর্যয় সম্পর্কে কোন অনুমান বা মনগড়া তথ্য দেয়া যাবে না।

ইরানী গণমাধ্যম বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করছে। ইরানের বিমান সংস্থা বলেছে এই দুর্ঘটনার সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন যোগসূত্র নাই।

বুধবার কিয়েভে যাওয়ার পথে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের পিএস-৭৫২ ফ্লাইটের উড়োজাহাজটি ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে ইরানে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন ইরান এবং কানাডার নাগরিক।

নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন ক্যানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনিয়ান, যাদের মধ্যে ৯ জনই ক্রু, ১০ জন সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন ব্রিটিশ এবং তিনজন জার্মান নাগরিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু। সূত্র : বিবিসি

এএইচ/