ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও ঝুঁকি নিরসনে গবেষণার বিকল্প নেই: পুতুল

তানভীরুল ইসলাম

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০৩ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

দেশের সর্বস্তরে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রসারে টেকসই পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা ও বাংলাদেশ অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও মানসিক রোগের ঝুঁকি নিরসনে তথ্য ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গবেষণার কোন বিকল্প নেই।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কৌশলগত পরিকল্পনার সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে না পারা শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচাতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। দেশের সকল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) নিয়োগ দিতে হবে। মানসিক শিক্ষাকে পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সুরক্ষায় আমাদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের মত মানসিক স্বাস্থ্যও সমান গুরত্বপূর্ণ। তবে, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশের সাধারণ জনগণ এখনও কুসংস্কারমুক্ত নয়। তাদের ধারণা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করলে মানুষজন তাদের পাগল বলতে পারে। এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অগ্রাধিকারভুক্ত ৬টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ কার্যক্রমে অংশগ্রহনের জন্য মনোনীত হয়েছে। এজন্য মাননীয় মন্ত্রী এ উদ্যোগের প্রধান রূপকার সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাস্থ্য সেবায় একটা পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। সে লক্ষ্যে আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। একটা সময় দেশে টিভি, কলেরা, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে গ্রাম থেকে গ্রাম সাফ হয়ে যেত। এসব সংক্রমক রোগ নিয়ে আমরা খুবই আতঙ্কিত ছিলাম। এগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে সে সমস্যা সমাধান হলেও নতুন করে বিভিন্ন নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস যেমন ক্যান্সার, কিডনির রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা সমস্যা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে এই মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি প্রতিনিধি মি. বর্ধন জং রানা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপদেষ্টা নাজনীন আনোয়ার প্রমুখ। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/ এসি