ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০২ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস মেগান মার্কেল- রাজপরিবারের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস মেগান মার্কেল- রাজপরিবারের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

ব্রিটেনের রাজসিংহাসনের দাবিদারদের একজন প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান রাজপরিবার থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এমন কি তারা রাজপরিবারের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ অর্থ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, আর্থিকভাবে স্বনির্ভর জীবন যাপন করতে চান। 

গতকাল বুধবার রাতে প্রিন্স হ্যারি এবং তার সাবেক অভিনেত্রী স্ত্রী মেগান মার্কলের একটি যৌথ বিবৃতি ব্রিটেনে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলছেন, তারা আর রাজপরিবারের দায়দায়িত্ব পালন করবেন না। খবর বিবিসি’র। তাদের শিশু সন্তান নিয়ে জীবন যাপনের জন্য তারা ব্রিটেন এবং উত্তর আমেরিকায় ভাগাভাগি করে সময় কাটাতে চান বলেও তারা ঘোষণা করেন।

প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের রাজকীয় উপাধি হচ্ছে সাসেক্স-এর ডিউক ও ডাচেস। তারা এরই মধ্যে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন যেটি উত্তর আমেরিকা এবং আফ্রিকায় নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করবে। রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা রাজপরিবারের কারো সাথে কোন ধরনের আলোচনা করেননি। এমনকি রানীও বিষয়টি জানতেন না।

বিবিসি জানিয়েছে, রাজ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের যে বড় ধরনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে এ তারই প্রমাণ। কিন্তু রাজপরিবার থেকে বাইরে গিয়ে তারা কতদিন থাকতে পারবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনেকেই মনে করছেন, একবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে রাজ পরিবারের কতখানি ভূমিকা থাকা উচিত প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের এইভাবে সরে যাওয়া সেই প্রশ্নটিকে নতুন করে জীবনদান করবে। রাজকীয় জীবনধারা যে এই তরুণ দম্পতির জীবনের ওপর চাপ তৈরি করেছে, একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মেগান তা স্বীকার করে নিয়েছেন।

একজন রাজপুত্রকে বিয়ে করলে তার জীবন কতখানি কঠিন হয়ে পড়বে সে সম্পর্কে কোন আগাম ধারণা ছিল না বলে তিনি স্বীকার করে নেন। তবে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী যেভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশা করতে পারেন তাকে তুলনা করা যায় তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার সাথে। কিন্তু প্রিন্সেস ডায়ানার রাজকীয় জীবনও সুখের ছিল না। হয়তো সে কারণেই প্রিন্স হ্যারি ও মেগান রাজ পরিবারের বাইরেই সেই সুখের সন্ধান করতে চাইছেন।

এমএস/এসি