ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় দেখতে মানুষের ঢল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিলুপ্ত প্রায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘোড় দৌড় দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা থেকে ৩০ ঘোড় সওয়ারী অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সপ্তাহব্যাপী পৌষ মেলার প্রথম দিন বিকেলে এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

পৃষ্টপোষকতার অভাবে আজকাল গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী অনেক খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের আরাজী দেবীপুর মন্দিরপাড়া মাঠে এ মেলার শুরু হয়েছে। 

স্থানীয় আরাজী দেবীপুর মন্দিরপাড়া পৌষ মেলা কমিটি আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ঘোড়াসহ মোট ৩০ জন ঘোড় সওয়ারি অংশ নেন।

প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে এ গ্রুপে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কাফি বানিয়া প্রথমস্থান ও একই উপজেলার মোরছালিন দ্বিতীয়স্থান এবং বি গ্রুপে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাটিয়াডাঙ্গী এলাকার আনছারুল ইসলাম প্রথমস্থান ও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার শাহজাহান আলী দ্বিতীয়স্থান লাভ করেন। 

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে একটি করে এলইডি টেলিভিশন তুলে দেন মেলার প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্টো, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রওশনুল হক তুষার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পৌষ মেলা কমিটির সভাপতি জগদীশ চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ। 

সপ্তাহব্যাপী মেলার অন্যান্যদিনে অনুষ্ঠিত হবে বিষ খেলা, স্লো বাইসাইকেল, স্লো মোটরসাইকেল, স্লো কার চালানো প্রতিযোগিতা এবং মিনি চিড়িয়াখানা, পাখি যাদু, সার্কাসসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

মেলায় মৌসুমী পিঠা-পুলি ও চারু-কারু পণ্যের শতাধিক দোকানসহ বসেছে নাগর দোলা। মেলার দ্বিতীয় দিন রোববারও (১২ জানুয়ারি) নানান বয়সের ও শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।  

এআই/এসি