কলকাতা বন্দরের পর এবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম বদলের দাবি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২০ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের পর এবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম বদলের দাবি তুলল বিজেপি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম বদল করে রানি লক্ষ্মীবাই করার দাবি করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি টুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম। লিখেছেন, আমি নমোর মতামতকে স্বাগত জানাই। কলকাতার ইতিহাসকে ফিরে দেখা উচিত। তার উচিত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম বদলে রানি ঝাঁসি স্মারক মহল করা। ১৮৫৭ সালে ঝাঁসির রানিকে বিশ্বাসঘাতকতার পর রানী ভিক্টোরিয়া ভারত দখল করেন এবং ৯০ বছর ধরে ভারতে লুটতরাজ চালান।
এর আগে গতকাল রোববার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা বন্দরের নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বলেন, বাংলার সুপুত্র শ্যামাপ্রসাদ দেশে বিনিয়োগের সূচনা করেছিলেন। ডিভিসির মতো অনেক বড় প্রকল্পে শ্যামাপ্রসাদের বড়সড় যোগদান ছিল। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাংলার শিল্পোদ্যোগের পথিকৃৎ। বাংলার এই সুপুত্রকে উপযুক্ত সম্মান দিতে আজ থেকে কলকাতা বন্দরের নাম আমি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর রাখলাম।
এদিন মোদি আরও বলেন, কলকাতা বিমান বন্দরের সঙ্গে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারকেও যুক্ত করা হবে। পোর্টের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোদির কথায়, ‘পোর্ট শুধু জাহাজ আসা যাওয়া করে না, এখানে অনেক ইতিহাস। সত্যাগ্রহ থেকে সচ্ছাগ্রহ দেখেছে। দেশ দুনিয়ার জ্ঞানবাহকও এই পোর্ট। ভারতের আত্মনির্ভতার প্রতীক এই পোর্ট। নিউ ইন্ডিয়ার প্রতীক বানাতে হবে এই বন্দরকে।’ আর এবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে দাবি জানান সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাতে বিতর্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আসলে মহারানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ। যা ব্রিটিশ আমলে তৈরি। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় প্রদর্শনশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। ১৯০৬ থেকে এই সৌধটি তৈরির কাজ শুরু হয়। সৌধটির শিলান্যাস করেন সেসময়ের ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’। ১৯২১ সালে কাজ শেষ হয়। তারপর থেকেই কলকাতার বুকে অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল।
একে//