ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

গেইলের ‘টেস্ট’ ব্যাটিং, ঢাকার বিদায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৫:৪৮ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার

মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক

মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক

ক্রিস গেইল মানেই ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিং। তার স্ট্রাইক পাওয়া মানে গ্যালারি নড়েচড়ে বসা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইউনিভার্স বস যে তিনিই। রিয়েল এন্টারটেইনার। বিপিএলে সর্বোচ্চ ইনিংসটাও তার। সেই গেইল-ই কিনা আজ মিরপুরে ব্যাটিং করলেন টেস্ট মেজাজে! 

ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ এলিমিনেটর ম্যাচে রীতিমতো হতাশ করেছেন ক্যারিবীয় দানব। তবুও কায়েস-রিয়াদদের ব্যাটিংয়ে ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাও ১৪ বল হাতে রেখেই। যাতে এলিমিনেটর হয়েই বিদায় নিতে হল তামিম-মাশরাফিদের। 

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার দেয়া ১৪৫ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বেশ ভালোই শুরু করেন গেইল। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪২ রান। ১২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করে আউট হন জিয়া।

এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গেইল গড়েন ৪৯ রানের জুটি। গেইলের আউটে ওই জুটির পতন হয়। কিন্তু তখন দ্য ইউনিভার্স বসের নামের পাশে দেখা যায় ৪৯ বলে ৩৮ রান! স্ট্রাইক রেট ৭৭.৫৫! বাউন্ডারি মাত্র ১টি আর ওভার বাউন্ডারি ২টি। এ কোন গেইল?

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলা গেইলকে বড় ইনিংস খেলতে দেখা যায়নি। টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বিশ্রাম আর ইনজুরির কারণে বেশ দেরিতে যোগ দিয়েছেন বিপিএলে। নিজের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ রানের ছোট্ট ক্যামিও। এরপর আর জ্বলে উঠতে পারেননি দ্য ইউনিভার্স বস। 

তবে গেইলের এমন টেস্ট ইনিংসের পরও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। ইমরুল কায়েস ২২ বলে ৩২ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ছয়টি ছক্কায় গড়া মাত্র ১৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় চ্যালেঞ্জার্সরা। সেইসঙ্গে অপেক্ষায় এখন ফাইনালে যাবার। 

এর আগে ফাইনালে ওঠার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা প্লাটুন। যাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন শাদাব খান, ৬৪ রান করেন এই পাকিস্তানি স্পিনার। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। গত ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তারকা পেসার রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৩ রান! গত ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করার মুমিনুল হক করেন ৩১ বলে ৩১। তারপর শুরু হয় ব্যাটিং ধস। চার ব্যাটসম্যান 'ডাক' মারেন পরপর।

ঢাকার ৭ ব্যাটসম্যান দুই অংকে পৌঁছতে পারেননি এদিন। সবার বিপরীতে দাঁড়িয়ে মাথা ঠাণ্ডা করে ব্যাটিং করে যান পাকিস্তানের শাদাব খান। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া শাদাবের ইনিংস শেষ হয় ৪১ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করে। 

আর শেষের দিকে শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ১৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন। এই তিন ব্যাটসম্যানের সৌজন্যেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। রায়াদ এমরিট নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর ২টি করে নিয়েছেন রুবেল হোসাইন ও নাসুম আহমেদ।

এনএস/