প্রাইভেট পড়িনোর জমানো টাকা দিয়ে অবৈতনিক ৪ স্কুল প্রতিষ্ঠা
প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০২:২৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার
শিশুরা ডাকে জুয়েল স্যার বলে, আর অভিভাবকরা বলেন দয়াবান দূত। তবে যে নামেই ডাকুক, প্রাইভেট পড়িনোর জমানো টাকা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্যে টাঙ্গাইলে ৪টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রতিভাবান যুবক জুয়েল আহমেদ। অবৈতনিক এসব স্কুলের চার শাখায় বর্তমানে দুই’শ শিশু বিনাবেতনে পড়ালেখা করছে।
সুরে সুরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মাঝে।
অর্থের অভাবে যারা একসময় স্কুলে পড়তে পারতো না সেসব শিশুরা এখন স্বপ্ন দেখে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। আর স্বপ্ন দেখার সাহস যুগিয়েছেন তাদের জুয়েল স্যার ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জুয়েল আহমেদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়া এই তরুন জানান স্কুলে না যাওয়া শিশুদের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে কষ্ট লাগে তার। পরে প্রাইভেট পড়ানোর টাকা দিয়ে ২০১৩ সালে বাড়ির উঠোনে চালু করেন ফ্রেন্ডশিপ স্কুল। সুবিধাবঞ্চিত ২৯ শিশুকে নিয়ে শুরু করা স্কুলে বর্তমানে শিক্ষার্থী দুই’শ। পৌর শহরের অন্যান্য স্থানে চালু করা হয়েছে আরো তিনটি শাখা।
এখানে সামান্য বেতনে শিশুদের পড়ান ১৩জন শিক্ষক। স্কুল থেকেই সরবরাহ করা হয় শিক্ষা সামগ্রী।
জুয়েলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
জুয়েলের মত আরও স্বপ্নবান তরুনেরা এগিয়ে এলে অন্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আলোকিত হবে শিক্ষার আলোয়, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।